অবশেষে ১২ দিন পর সচল হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের নষ্ট হয়ে যাওয়া এনজিওগ্রাম মেশিন। মেশিনটির জাপানি মালিকানার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল মেশিনে অস্থায়ী পিকচার টিউব স্থাপন করে দিয়েছেন। ফলে মেশিনের কার্যক্রম চলছে। গতকাল হৃদরোগ বিভাগের ক্যাথল্যাবে এনজিওগ্রাম হয়েছে ৫ জন রোগীর, হার্টে রিং পরানো হয়েছে ২ রোগীর, পারমানেন্ট পেসমেকার (পিপিএম) স্থাপন করা হয়েছে একজন রোগীর।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ দে দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের এনজিওগ্রাম মেশিনটি ওয়ারেন্টির পিরিয়ডের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোম্পানির লোকজন এসে অস্থায়ী পিকচার টিউব লাগিয়ে দিয়েছেন। এতে আমাদের কার্যক্রম চলছে। তবে তারা শিগগিরই অরজিনাল পিকচার টিউব স্থাপন করে দিবে বলেছেন।
জানা গেছে, ক্যাথল্যাব বা কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশনের (এনজিওগ্রাম) মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি, ভাল্ব (কপাটিকা), ধমনির পরিস্থিতি জানতে এবং হৃদযন্ত্রের রক্তের চাপ বুঝতে রোগীকে ক্যাথল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনমতো রক্তনালিতে স্টেন্ট বা রিং পরানো, পেসমেকার বসানো, সংকুচিত ভাল্বকে ফোলানোসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপাচার করা হয়।
উল্লেখ, জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের দুটি এনজিওগ্রাম মেশিনের একটি নষ্ট হয়ে যায় প্রায় আড়াই বছর আগে। বাধ্য হয়ে বাকি একটি মেশিন দিয়ে কাজ চালাতে হতো। কিন্তু কাজের চাপ বাড়ার কারণে হঠাৎ করে গত ৪ জানুয়ারি থেকে একমাত্র এনজিওগ্রাম মেশিনটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।