অবশেষে মুক্তি জাসেদুলের

বিনা দোষে ৬ মাস কারাভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ আগস্ট, ২০২২ at ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিনা দোষে কারাভোগের পর অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন জাসেদুল হক নামের এক যুবক। গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগারের ডেপুটি জেলার মাজহারুল ইসলাম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে উচ্চ আদালতের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেয়ে আমরা জাসেদুলকে ছেড়ে দিয়েছি। আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন মালেশিয়ায় ছিলেন জাসেদুল হক। ২০১৭ সালে দেশে ফিরেন। চলতি বছরের গত ২১ ফেব্রুয়ারি রামু থানা পুলিশের হাতে চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের একটি সাজাপরোয়ানা মূলে তিনি গ্রেপ্তার হন। মূলত নাম ঠিকানার মিল থাকায় অন্য একজনের জায়গায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত সূত্র আরো জানায়, বিষয়টি কঙবাজার কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা সে বিষয়ে চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি চিঠি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ আদালতে জাসেদুলের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় এবং বিষয়টি উচ্চ আদালতকে অবহিত করা হয়। জাসেদুল হকের ভাই সাজেদুল হক প্রকাশ সাহেদ খান আজাদীকে বলেন, আমার ভাই মালেশিয়ায় গেছেন ২০১০ সালে। অন্যদিকে যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সেই মামলার সৃষ্টি হয়েছে ২০১১ সালে। বিমান বন্দরসহ সব জায়গায় তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টির রেকর্ড রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে মালেশিয়া থেকে ফিরে আসার পরও কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত ২১ ফেব্রুয়ারি রামু থানা পুলিশ হঠাৎ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তখন আমরা পুলিশকে বলেছিলাম সে প্রকৃত আসামি নয়, কিন্তু তারা কথা শুনেননি। প্রকৃত আসামির ছবি জেলখানায় রয়েছে। সে কিছুদিন কারাগারেও ছিল। পরে জামিনে গিয়ে লাপাত্তা হয়ে পড়ে। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় ভাইকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। আর প্রকৃত আসামি বাইরে হাওয়া খাচ্ছে। ভাইকে ফাঁসাতেই ওই লোক তার নাম ব্যবহার করেছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছর পাহাড়তলী থানার ওই মাদক মামলায় জাসেদুল হক নামের প্রকৃত আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। যাকে সাজা দেয়া হয় তিনি কঙবাজার জেলার রামু থানাধীন রাজাকুল সিকদার পাড়ার ওবায়দুল হকের ছেলে। প্রকৃত আসামি নন দাবি করা জাসেদুলের সাথে তার সবকিছুর মিল রয়েছে। আদালত সূত্র আরো জানায়, ২০১১ সালের ১ মার্চ পাহাড়তলী থানাধীন হালিশহর রোডের একটি ক্লাবের সামনে থেকে ১৫০ পিস ইয়াবাসহ জাসেদুল হক নামের প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাশিয়ার জ্বালানি তেলের নমুনা চট্টগ্রামে পরীক্ষার পর আমদানির সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধগ্যাস অনুসন্ধানে অগ্রগতি নেই