দীর্ঘ আড়াই বছর পর অবশেষে ২৪ মার্চ থেকে চালু হতে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরি সার্ভিস। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর তোড়জোড় শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে শুরু হয় ফেরির রুট নির্ধারণের কাজ। শুরুতে সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ঘাট থেকে মীরসরাই ডোমখালী ঘাট আবার সন্দ্বীপের গাছুয়া ঘাট থেকে সীতাকুণ্ডের বাকখালী রুটে ফেরি চলাচলের জন্য সম্ভাব্যতার কথা উঠে আসলেও সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর কথা চিন্তা করে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর অবশেষে নির্ধারণ করা হয় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট।
এ নৌরুট দিয়ে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তোড়জোড় শুরু হয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের। এরই ধারাবাহিকতায় বাঁশবাড়িয়া ঘাটে বেড়িবাঁধ থেকে সাগরের দিকে ব্লক দিয়ে প্রায় ৮০০ মিটারের রাস্তা নির্মাণ করা হয়। গুপ্তছড়া ঘাটে নির্মাণ করা প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা। আরও ২০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হবে এ ঘাটে। নির্মাণ করা হচ্ছে ফেরির জেটি, গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ডসহ অন্যান্য অবকাঠামো। ইতোমধ্যে উভয় ঘাটের জন্য পন্টুন চলে এসেছে। গত ৫ মার্চ ফেরি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করে পরবর্তীতে গুপ্তছড়া ঘাটসহ উভয় পাশে জেটির কাজ শেষ না হওয়ায় পিছিয়ে যায় সন্দ্বীপবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত সার্ভিস শুরু হওয়া।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় বাশবাড়িয়া ঘাট হয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ঝটিকা সফরে এসে ফেরি চলাচলের অবকাঠামোগত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এসময় কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে আগামী ২৪ মার্চ ফেরি চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর আগে কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি বাশবাড়িয়া থেকে গুপ্তছড়া নৌরুটে চালিয়ে দেখা হবে। যাতে করে উদ্বোধনের আগেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা যায়। বিশেষ করে জোয়ার ভাটার সময়ে ফেরি কখন যাত্রা শুরু করবে সেটি ঠিক করে নেয়া যায়। এসময় গুপ্তছড়া ঘাটে ব্রিজের মাথায় ভাটার সময় যাত্রীরা কাদার মধ্যে যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা থেকে পরিত্রাণের জন্য যাতে স্টিমার ও স্পিডবোটও যেন ভাটার সময় ফেরির জেটিতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান।