অবশেষে আইএমএফ এর ঋণ পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

| বুধবার , ২২ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার পর আইএমএফ এর কাছ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা। বিবিসি এক প্রতিবেদনে লিখেছে, স্বাধীনতার পর সবচেয়ে খারাপ সময়টা পার করতে থাকা শ্রীলঙ্কা এমনিতেই বিপুল ঋণের ভারে জর্জরিত। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার সঙ্কটে করুণ দশার মধ্যে আইএমএফ এর ওই ঋণ দেশটির টিকে থাকার সহায় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি বিবিসিকে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন এবং বিমান পরিবহন সংস্থার বেসরকারিকরণের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে সরকার। খবর বিডিনিউজের। তবে, বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই সংকট উত্তরণে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। মহামারীর মধ্যে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি বড় ধাক্কা খায়। বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চড়া সুদে নেওয়া বিদেশি ঋণ তখন হয়ে ওঠে গলার কাঁটা। বিদেশি মুদ্রার অভাবে জ্বালানি, খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি পণ্যের আমদানিও বন্ধ হয়ে যায় এক পর্যায়ে। মূল্যস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। জনগণকে শান্ত রাখতে শ্রীলঙ্কা সরকার কর কমিয়ে দিয়েছিল, তাতে হিতে বিপরীত হয়, রাজস্ব আদায় কমে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়।

পরিস্থিতিতে তুমুল জনরোষের মুখে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় সরকারের পতন ঘটে। ওই বছরই মে মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মত ঋণ খেলাপি হয় শ্রীলঙ্কা। আইএমএফ এর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাবরি বলেন, কোনো কিছুই আমাদের সাধ্যের মধ্যে নেই। আমাদের ভালো না লাগলেও এখন কঠিন কিছু পদক্ষেপ নিতে হতে পারে, যেগুলো খুবই অজনপ্রিয় হবে। সৌভাগ্যবশত, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ইউনিয়নগুলো ছাড়া দেশের অধিকাংশ মানুষ পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছে। আমি জানি তারা খুশি নয়, কিন্তু তারা এটাও বোঝে যে আমাদের কোন বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশ্চিমাদের মানবাধিকারের রক্ষক সাজা ‘নিছক ভণ্ডামি’: ইরান বিশ্বের কিছু দেশ একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানিদের মৌলিক অধিকারগুলো লঙ্ঘন করছে। একই সময়ে এদেশের জনগণের মানবাধিকারের রক্ষক সাজার ভান করছে। গত সোমবার বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া এক বক্তব্যে জেনেভায় জাতিসংঘের দফতরে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আলী বাহরাইনি একথা জানান। বক্তব্যে ইরানি জনগণকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে তাদের মানবাধিকারের রক্ষক সাজার এই আচরণকে তিনি নিছক কপটতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিথ্যা প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন। খবর বাংলানিউজের। বাহরাইনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জাভিদ রহমান ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তা ভুল তথ্যে সমৃদ্ধ। ইরানের কূটনীতিক বলেন, এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদনে ইরানের বাস্তব পরিস্থিতি উপেক্ষিত হয়েছে। বাহরাইনি বলেন, জাভিদ রহমানের প্রতিবেদনে ইরানে বিদেশি মদদপুষ্ট সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলার কথা উপেক্ষা করা হয়েছে। অথচ এসব হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বহু মানুষ নিহত হয়েছে। বক্তব্যের এক জায়গায় তিনি ইরানে সন্ত্রাসবাদের উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি মদদপুষ্ট গণমাধ্যমকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত শত শত টিভি, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরানে সহিংসতা উস্কে দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনে আকস্মিক সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা