অবলীলায় মিথ্যা বলা ফখরুলের বড় গুণ

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণে তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বড় গুণ হলো তিনি আস্থার সাথে অবলীলায় মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা যখন বললাম, ফখরুল সাহেব দেশে সাহায্য বন্ধ করার জন্য দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে দেশদ্রোহিতামূলক কাজ করেছেন। তারপর তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, আমি দেশের বিরুদ্ধে কোনো চিঠি দিইনি। এরপর যখন সেই চিঠির কপি আমরা গণমাধ্যমের সামনে দেখালাম এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিলাম, এরপরে কিন্তু তাদের কোনো জবাব নাই। এইভাবে একটি দলের মহাসচিব মিথ্যাচার করতে পারে, সেটি দেখে এবং শুনে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি নিজেও সত্যি লজ্জিত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে কিংবা যে রাজনৈতিক দলকে জনগণের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হয়, সে রাজনৈতিক দল নির্বাচন ব্যতিরেকে টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি যে ভুলটি করছে সেটি তাদের আত্মহননের মতো, শুধু এটুকুই বললাম।হাছান মাহমুদ বলেন, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সরকার সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু উনারা তো সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছেন কোনো নির্বাচনে যাবেন না। এভাবে ‘না’ বলতে বলতে তারা যে ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন।
তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকলে অবশ্যই সমালোচনা হবে, আম পাকলে গাছে ঢিল পড়বেই। যেখানে আম পাকে না সেখানে ঢিল কেউ মারে না। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধ এবং বধিরের মতো না হয়। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও যেন করা হয়। এই সরকার সাংবাদিকদের জন্য কী করেছে, কী করে যাচ্ছে, অতীতে এটি হয়েছে কিনা সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেন। সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব দেখা হয়নি। যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তারা পেয়েছেন। আমরা মনে করি সমালোচনা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক।
অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ১০৪ জন সাংবাদিকের মাঝে সহায়তার চেক তুলে দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদীর্ঘদিন প্যারাসিটামল সেবনে রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি : গবেষণা
পরবর্তী নিবন্ধহাসপাতাল সিআরবি ছাড়া অন্যত্র হোক, এটাই দাবি