অপারেশন সিঁদুর কেন

| বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানে চালানো হামলাকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ বলছে ভারত সরকার। ইন্ডিয়া টুডে সরকারি সূত্রের বরাতে বলছে, এই নাম দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলায় নিহতদের স্ত্রীদের কথা মাথায় রেখেই নাকি তিনি এই নাম দিয়েছেন। ভারত সরকারে শীর্ষ পর্যায়ের সূত্রগুলো ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ওই হামলার মানবিক দিক গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। আর এটিই ছিল অপারেশন সিঁদুর নামকরণের প্রেরণা। খবর বাংলানিউজের।

সিঁদুর হলো হিন্দু বিবাহিত নারীদের সিঁথিতে পরা একপ্রকার লাল রঙের গুঁড়া। পহেলগাঁও হামলা অনেক নারীর ‘সিঁদুর’ কেড়ে নিয়েছিল। ওই হামলায় ভারত পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপায়। তবে পাকিস্তান জানায়, ওই হামলায় তারা জড়িত ছিল না। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়ে বলেন, ওই হামলা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভারতীয় পুরুষদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে অসংখ্য নারী বিধবা হন এবং বহু পরিবার চিরতরে ভেঙে পড়ে। তিনি কর্মকর্তাদের বলেন, হামলার প্রতিক্রিয়া এমনভাবে দিতে হবে, যাতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, ভারত এটি কখনো মেনে নেবে না এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ‘অপারেশন সিঁদুর’এ ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী একত্রে অংশ নেয়। তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায়। ভারতের দাবি, তারা সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ শিরোনামের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ছবিটি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন। ছবিতে কালো পটভূমির ওপর সাদা অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘অপারেশন সিঁদুর’। ‘সিঁদুর’ শব্দে ‘ও’ অক্ষরের জায়গায় দেখানো হয়েছে সিঁদুরভর্তি একটি গোল পাত্র।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারত সরকার ওই হামলাকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দেয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, কোটলি, বাহাওলপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভারতের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলেছে পাকিস্তান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বের গণমাধ্যমে যেভাবে উঠে এলো হামলার ঘটনা
পরবর্তী নিবন্ধহামলার সময় আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা পালিয়েছিলেন পাহাড়ে