লোহাগাড়ার পদুয়া থেকে অপহৃত ৭ম শ্রেণির সেই স্কুলছাত্রীকে ১২ দিন পর উদ্ধার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল পটিয়া থানার বরুলিয়া এলাকার মৃত আলমগীরের পুত্র মূল হোতা তারেক হোসেন (২৫) ও আশ্রয়দাতা একই এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের পুত্র মো. রহিম বাদশা (৪৩)।
জানা যায়, ভিকটিমকে স্কুলে আসা–যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত তারেক হোসেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৮ মে সকাল ১০টার দিকে স্কুলের যাওয়ার পথে তারেক ও কয়েকজন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে যায়। ঘটনার পরদিন তার পিতা লোহাগাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরবর্তীতে তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, ভিকটিমকে অপহরণের সময় আসামি রহিম বাদশা মামলার প্রধান আসামি তারেক হোসেনের সাথে ছিল। রহিম বাদশা নিজে তাদেরকে কক্সবাজারের উখিয়া থানার গহীন পাহাড়ের নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। র্যাব সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে তারা ভিকটিমকে নিয়ে পালিয়ে পটিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে রহিম বাদশাসহ চক্রের অন্য সদস্যরা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা করে। মুক্তিপণ না পেলে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিল।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ভিকটিম ও গ্রেপ্তার অপহরণকারী দুই জনকে থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। বুধবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।