দেশে রাজনৈতিক অপরাধও বেড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তথ্য মন্ত্রীও একথা বলেছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনায় সভায়। তিনি বলেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো ও আগুন দেওয়া পৃথিবীতে কোথাও কোনো ঘটনা ঘটে কিনা জানা নেই। আগুন দেওয়া ও মানুষ পোড়ানো এগুলো অপরাধ। রাজনৈতিক অপরাধ দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাজারমূল্য বৃদ্ধির পেছনে মুনাফাখোররা দায়ী জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সংকটের কারণে সব সময় বাজার দর যে বাড়ে তা নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবৃদ্ধিও অপরাধ।
সাম্প্রতিক সময়ে খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রীতিমত উদ্বেগজনক। ঘটনাগুলো সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এসব খুনের বেশির ভাগই ঘটেছে সামাজিক ও পারিবারিক কারণে। সাধারণত পারিবারিক কলহ, অর্থ লেনদেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব বা এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে এঁরা খুন হয়েছেন। আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪/১৫ জন খুন হচ্ছেন। তবে এসব খুনের বেশিরভাগ ঘটছে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে। বাবা অথবা মা নিজের শিশু সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করছেন। বাবা অথবা মাও খুন হচ্ছেন সন্তানের হাতে। রাস্তা বা ডোবা থেকে উদ্ধার হচ্ছে তরুণীর খণ্ডিত লাশ। এতে উদ্বেগুউৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে সচেতন নাগরিক এমনকি জনসাধারণের মাঝে। এভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে হত্যাকাণ্ড।
সমাজবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, বিচার বা যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়াই সমাজে অনেক অপরাধের পুনরাবৃত্তির অন্যতম প্রধান কারণ। অপরাধী যখন বিচারের মুখোমুখি হয়েও আইনের ফাঁকফোকর গলে পার পেয়ে যান, তখন তার মধ্যে এই ধারণাই দৃঢ় হয় যে, অপরাধ যত বড়ই হোক তিনি আবারও পার পেয়ে যাবেন। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ কিংবা ঋণখেলাপি পর্যন্ত সব ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই অপরাধীদের মধ্যে এমন মনস্তত্ত্ব তৈরি হতে পারে। বিচারের ফাঁক গলে অপরাধীদের এভাবে পার পেয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আর রাজনৈতিক ক্ষমতার যোগসাজশ যুক্ত, এমন অভিযোগ প্রায়ই মেলে। সামগ্রিকভাবে একেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলে আখ্যায়িত করা হয়। এরই অনিবার্য ফল হলো, চিহ্নিত অপরাধীদের বারবার একই অপরাধে যুক্ত হওয়া। সমপ্রতি দেখা যাচ্ছে, পুলিশের তালিকাভুক্ত এমন আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকটের নেপথ্যে পুলিশের পেশাদারিত্ব ও বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার দায়ী।
আইনের ভাষায় অপরাধ এমন কাজ, যা আইন বহির্ভূত ও পরিপন্থী। যা সম্পাদনের ফলে রাষ্ট্র সেই অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। অপরাধ সেই ধরনের কাজ, যা আমাদের সমাজব্যবস্থায় অনেকাংশে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে আমরা দেখছি অপরাধ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। সেই সাথে অপরাধীরাও তাদের অপরাধ সংগঠনের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।
বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সামাজিক বৈষম্যকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সামাজিক বৈষম্য আমাদের সমাজে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি হিসাব মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫.৩০ শতাংশ মানুষ বেকার যা আগের বছরের তুলনায় ১.১০ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, ধনীরা দিন দিন আরও বেশি সম্পদশালী হচ্ছে এবং দরিদ্ররা আরও বেশি দরিদ্র। ফলে শ্রেণিবৈষম্য মারাত্মক আকার ধারণ করছে, যার ফলে সামাজিক চাপ (সোশ্যাল স্ট্রেইন) বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়।
বর্তমানে, ধর্ষণ একটি অন্যতম অপরাধ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়। ফলে ধর্ষিতা নারীরা আইনের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ভিকটিমকে দোষারোপ করার ফলে অপরাধ আইনের সম্মুখে আসতে পারে না তাই অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। মানুষ মানসিকভাবে হিংস্র হয়ে ওঠছে। যা মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তুুলছে। এ বিষয়ে সরকারসহ আমাদের সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে।
অপরাধপ্রবণতা কমানোর জন্য সবাইকে ভাবতে হবে
দেশে রাজনৈতিক অপরাধও বেড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তথ্য মন্ত্রীও একথা বলেছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনায় সভায়। তিনি বলেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো ও আগুন দেওয়া পৃথিবীতে কোথাও কোনো ঘটনা ঘটে কিনা জানা নেই। আগুন দেওয়া ও মানুষ পোড়ানো এগুলো অপরাধ। রাজনৈতিক অপরাধ দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাজারমূল্য বৃদ্ধির পেছনে মুনাফাখোররা দায়ী জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সংকটের কারণে সব সময় বাজার দর যে বাড়ে তা নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবৃদ্ধিও অপরাধ।
সাম্প্রতিক সময়ে খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রীতিমত উদ্বেগজনক। ঘটনাগুলো সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এসব খুনের বেশির ভাগই ঘটেছে সামাজিক ও পারিবারিক কারণে। সাধারণত পারিবারিক কলহ, অর্থ লেনদেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব বা এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে এঁরা খুন হয়েছেন। আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪/১৫ জন খুন হচ্ছেন। তবে এসব খুনের বেশিরভাগ ঘটছে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে। বাবা অথবা মা নিজের শিশু সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করছেন। বাবা অথবা মাও খুন হচ্ছেন সন্তানের হাতে। রাস্তা বা ডোবা থেকে উদ্ধার হচ্ছে তরুণীর খণ্ডিত লাশ। এতে উদ্বেগুউৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে সচেতন নাগরিক এমনকি জনসাধারণের মাঝে। এভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে হত্যাকাণ্ড।
সমাজবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, বিচার বা যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়াই সমাজে অনেক অপরাধের পুনরাবৃত্তির অন্যতম প্রধান কারণ। অপরাধী যখন বিচারের মুখোমুখি হয়েও আইনের ফাঁকফোকর গলে পার পেয়ে যান, তখন তার মধ্যে এই ধারণাই দৃঢ় হয় যে, অপরাধ যত বড়ই হোক তিনি আবারও পার পেয়ে যাবেন। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ কিংবা ঋণখেলাপি পর্যন্ত সব ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই অপরাধীদের মধ্যে এমন মনস্তত্ত্ব তৈরি হতে পারে। বিচারের ফাঁক গলে অপরাধীদের এভাবে পার পেয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আর রাজনৈতিক ক্ষমতার যোগসাজশ যুক্ত, এমন অভিযোগ প্রায়ই মেলে। সামগ্রিকভাবে একেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলে আখ্যায়িত করা হয়। এরই অনিবার্য ফল হলো, চিহ্নিত অপরাধীদের বারবার একই অপরাধে যুক্ত হওয়া। সমপ্রতি দেখা যাচ্ছে, পুলিশের তালিকাভুক্ত এমন আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকটের নেপথ্যে পুলিশের পেশাদারিত্ব ও বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার দায়ী।
আইনের ভাষায় অপরাধ এমন কাজ, যা আইন বহির্ভূত ও পরিপন্থী। যা সম্পাদনের ফলে রাষ্ট্র সেই অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। অপরাধ সেই ধরনের কাজ, যা আমাদের সমাজব্যবস্থায় অনেকাংশে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে আমরা দেখছি অপরাধ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। সেই সাথে অপরাধীরাও তাদের অপরাধ সংগঠনের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।
বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সামাজিক বৈষম্যকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সামাজিক বৈষম্য আমাদের সমাজে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি হিসাব মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫.৩০ শতাংশ মানুষ বেকার যা আগের বছরের তুলনায় ১.১০ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, ধনীরা দিন দিন আরও বেশি সম্পদশালী হচ্ছে এবং দরিদ্ররা আরও বেশি দরিদ্র। ফলে শ্রেণিবৈষম্য মারাত্মক আকার ধারণ করছে, যার ফলে সামাজিক চাপ (সোশ্যাল স্ট্রেইন) বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়।
বর্তমানে, ধর্ষণ একটি অন্যতম অপরাধ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়। ফলে ধর্ষিতা নারীরা আইনের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ভিকটিমকে দোষারোপ করার ফলে অপরাধ আইনের সম্মুখে আসতে পারে না তাই অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। মানুষ মানসিকভাবে হিংস্র হয়ে ওঠছে। যা মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তুুলছে। এ বিষয়ে সরকারসহ আমাদের সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে।