বিদেশ থেকে আনা অন্যজনের সোনার বার নিয়ে পালানোর অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সেদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ২৭ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বার ও দুটি চুড়ি নিয়ে পালিয়ে যান ওই ছাত্রলীগ নেতা, তার বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগিনা। পতেঙ্গা থানার ওসি মো. কবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাকে স্বর্ণগুলো দেওয়ার কথা, তার থেকে টাকা নিয়ে জহিরুল কাস্টমসে স্বর্ণের করও পরিশোধ করেছেন। পরে স্বর্ণগুলো নিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে চম্পট দেন।
পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা জহিরুলের ভগ্নিপতি ফটিকছড়ির মহিউদ্দিন শিকদার ওমান প্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে একই এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হালিমের সখ্য গড়ে ওঠে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন শিকদার ওমান থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় আবদুল হালিম তাকে ২৭ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বার ও দুটি চুড়ি দেন তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য। এসব স্বর্ণের দাম প্রায় ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। মহিউদ্দিন শিকদার স্বর্ণগুলো আবদুল হালিমের আত্মীয় মোহাম্মদ হোসেনকে বুঝিয়ে দেবেন এমনই কথা ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই মোহাম্মদ হোসেনকে এড়িয়ে স্বর্ণের বার ও চুড়িগুলো নিয়ে মহিউদ্দিন শিকদার তার শ্যালক পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে ইরফানসহ একটি মাইক্রোবাসে চেপে দ্রুত পালিয়ে যান। স্বর্ণের জন্য অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ হোসেন তাদের পালিয়ে যেতে দেখে একটি সিএনজি টেঙি নিয়ে ধাওয়া করেও তাদের নাগাল পেতে ব্যর্থ হন।
মহিউদ্দিন শিকদার ও জহিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে মোহাম্মদ হোসেন বাদি হয়ে জহিরুল ইসলাম ও তার বোন রাশেদা বেগম, ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন শিকদার ও ভাগ্নে মো. ইরফানকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জহিরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে চালান করা হয়।