বঙ্গোপসাগরে প্রতিটি দস্যুতার ঘটনায় একটি নাম বারবার উঠে আসত। তা হল ছনুয়ার মোহাম্মদ আলীর পুত্র আবদুল হাকিম প্রকাশ বাইশ্যা ডাকাতের (৫২)। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার জেলে গিয়ে জামিনে আসলেও বারবার গ্রেপ্তার হয়ে ঠাঁয় হয়েছে জেলখানায়। ৬ ছেলে মেয়ের জনক বাইশ্যার স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, তাকে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। এখনও ৭টি মামলা রয়েছে। জেল থেকে জামিনে এসে কিছুদিন পর আবারো ইয়াবা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে জেল থেকে আসার ১ মাস ১৭ দিন পর আত্মসমর্পণ করে সে। তিনি আরো জানান, তাদের সংসারে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে। বড় ছেলে হেকাব উদ্দিন (২৩) ও কপিল উদ্দিন (১৭) ফিশিং বোটে কাজ করে। মেয়ে খুরশিদা বেগম (২০) ও তছলিমা বেগমের (১৬) বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ে নাহিদা ইয়াসমিন (১৫) মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। এছাড়া সবার ছোট ছেলে শাহিন মিয়া (৪)। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া না করিয়ে সাগরের কাজে ব্যস্ত রাখত আবদুল হাকিম বাইশ্যা। আত্মসমর্পণ করার পর প্রতিক্রিয়ায় বাইশ্যা জানায়, আমি আর অন্ধাকার পথে থাকতে চাই না। এতদিন না বুঝে যে সব অন্যায় ও খারাপ কাজ করেছি তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মত যারা এই কাজে ছিল তাদের প্রতিও আহ্বান জানাই আপনারা এসে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। অনেকে আমাদের ব্যবহার করেছে, আমাদের দিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করেছে। আমরা আর কারো দ্বারা ব্যবহার হয়ে অপরাধী হতে চাই না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই বলে আজ সরকারে কাছে আত্মসমর্পণ করছি। এদিকে আবদুল হাকিম প্রকাশ বাইশ্যা বাহিনীর সে ছাড়াও আহামদ উল্লাহ (৪২) ও আবদুল গফুর (৪৭) নামে আরো দুজন আত্মসমর্পণ করে।