অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব। পদ্মাসেতু বাঙালির শক্তি ও মর্যাদার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাঙালিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই পদ্মাসেতু।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে জাতীয় অর্থনীতির সাথে সংযুক্ত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মাসেতুর ছবি উপহার দেন, তখন আমরা সবাই গর্ববোধ করেছি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ অডিটোরিয়ামে পদ্মাসেতু পুনর্বাসন এলাকার ওপর গবেষণাগ্রন্থ ‘ডেভালপমেন্ট–হিউম্যান সিকিউরিটি নেঙাস’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বর্তমান সরকার যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উপযোগিতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়, যার অন্যতম উদাহরণ পদ্মাসেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে গবেষণাগ্রন্থ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দেন বিজের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। এ গবেষণাগ্রন্থের পরিচিতি তুলে ধরেন বিজের সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. রাজিয়া সুলতানা এবং গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন রিসার্চ অফিসার মো. রাফিদ আবরার মিয়া।
গবেষণাগ্রন্থের উপর আলোচনা করেন ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং পিএসসি সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন এবং আইইউসিএন বাংলাদেশের পরিচালক শেখ মো. মেহেদি হাসান। পরে বইয়ের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।