চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বী। গত মার্চে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে। সীমিত ওভারের স্কোয়াডে অবশ্য জায়গা পেয়েছেন আরও আগেই। কিন্তু স্কোয়াড থেকে একাদশে ঢোকার পথটুকু পাড়ি দেয়া হয়নি তার কোনোবারই। এখনও স্বাদ পাননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের। অবশ্য টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার আগে বিসিএলের এক ম্যাচে ইয়াসির করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার গড় ৫১.৩৩। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের জন্য তার ব্যাটিং উপযোগী মনে করা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই। করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ হয়ে না গেলে ব্যস্ত সূচির এই বছরে হয়তো দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন এত দিনে পূরণ হয়েই যেত তার। কিন্তু তা হলো না করোনার কারণে।
করোনাভাইরাসের বিরতি শেষে যখন চট্টগ্রামের মাঠে অনুশীলনে ফিরেছিলেন ইয়াসির দেখা গেল দুটি ঘাটতি আছে তার অনুশীলনে। পরামর্শ নেওয়ার জন্য পাশে পাননি কোনো কোচ বা মেন্টরকে। নেটে খেলতে পারেননি ভালো মানের কোনো পেসারকে। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুরের অনুশীলনে ফিরে তিনি পেয়েছেন সবকিছুই। নিজেকে শাণিত করার কাজও তাই করে চলেছেন চট্টগ্রামের তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ২৪ বছর বয়সী ইয়াসির জানালেন, কোচের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করছেন নিজেকে। বলেন ‘চট্টগ্রামে অনুশীলন করেছি। তবে ঘাটতি ছিল একজন মেন্টরের। ঢাকায় আসার পর আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে কোচের সঙ্গে কথা বলে। আমার কী কী দিক নিয়ে কাজ করতে হবে, তা নিয়ে কথা বলেছি। ওসব নিয়ে অল্প কিছু কাজও করেছি। চট্টগ্রামে পেস বোলার একদমই ছিল না। এখানে অনেক দিন পর অনেক ভালো পেস বোলারকে খেলেছি। একটু অন্যরকম লাগছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে সবকিছু খুব ভালো হচ্ছে।’ ঢাকায় অনুশীলনের গত কয়েক দিনে নতুন একটি অভিজ্ঞতাও হয়েছে সবার। জৈব–সুরক্ষা বলয়ে অনুশীলন সবার জন্যই এবার প্রথম। এই ঘরবন্দি জীবন, একই শহরে থেকেও পরিবার থেকে টানা দূরে থাকা, অনেকের জন্যই এসব দুঃসহ অভিজ্ঞতা। তবে ইয়াসির এখানে ইতিবাচক দিকও দেখছেন। ‘বায়ো–সিকিউর বাবলের মধ্যে আমরা ক্যাম্প করছি। একটা নতুন অভিজ্ঞতা। তবে আসলে অভিজ্ঞতাটা খারাপ নয়। কারণ এখন সত্যি বলতে সবাই একটু আতঙ্কিত যে বাইরে গেলে কী হবে বা নিজেও সংক্রমিত হয়ে যাব কিনা। এখন অন্তত আমরা জানি যে এই বাবলে থাকলে আমি নিরাপদ থাকব।’