চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, দোকান-পাট ও বাসা-বাড়ির সামনে খাল ও নালা-নর্দমায় যদি পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলি তা হলে কিছুতেই জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না। যারা এ ধরনের অপরিণামদর্শী অপকর্ম করেছেন তারা যদি এ থেকে বিরত না হন এবং নিজ উদ্যোগে খাল ও নালা-নর্দমা থেকে স্তূপকৃত ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণ না করেন তাদের তাদের জরিমানাসহ আইনের আওয়াত আনা হবে। যারা সৈকত খালের উপর পারাপারের জন্য বিনা অনুমতিতে স্ল্যাব স্থাপন ও খালের মধ্যে যে পাইপ লাইন করেছে সেগুলো ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অপসারণ ও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এসময়ের মধ্যে স্ল্যাব না সরালে সিটি কর্পোরেশন ভেঙে ফেলবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডে সৈকত খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যতই নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার, প্রশস্তকরণ এবং রাস্তা উঁচু করি না কেন, দেখা যাচ্ছে সেগুলো স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন-প্লাস্টিকের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এমনকি কর্ণফুলী তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় যত্রতত্র গৃহস্থালী ও শিল্প বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে প্রকৃতির উপর ভয়াবহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে, নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি সৈকত খালে এবং আশে-পাশের নালা নর্দমায় স্তূপকৃত পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাল-নালা-নর্দমা ও পানি চলাচলের পথ থেকে পলিথিন প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা টনে টনে সরিয়ে নিয়ে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করেছি কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এখানে বাইরে থেকে এসে কেউ পলিথিন ও আবর্জনা ফেলেনি, এই অপকর্ম স্থানীয়রাই করেছে। এখন থেকে যার যার বাড়ি ও দোকান পাটের সামনের খাল ও নালা-নর্দমা নিজেরাই পরিস্কার রাখবেন এবং যাতে পনি চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।
চসিক প্রশাসক এলাকাবাসীর কাছে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক হারুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, জিয়াউল হক সুমন, সমির মাহাজন লিটন, মোহাম্মদ কবির, মো. সামসুদ্দিন, মো. সেলিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
