মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সীমান্ত পেরিয়ে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গার ঢল নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গত রোববার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ লেম্বুছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার–৫০/২ এস সংলগ্ন সীমান্তের বাহিরমাঠ নামক স্থান দিয়ে ৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাখাইনে নতুন করে শুরু হওয়া আরাকান আর্মি ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করলে রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পালানোর চেষ্টা করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও স্থানীয় রোহিঙ্গাদের বরাতে জানা গেছে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ দিন দিন বেড়েই চলছে। সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন। টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের অপর পাশে রাখাইনের মংডুর টাউনশিপ এলাকার বিভিন্ন সীমান্তে শত শত রোহিঙ্গা নারী–পুরুষ ও শিশুরা অবস্থান করছেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়া–টেকনাফে আশ্রয়ের পরে এ দুই উপজেলার বেড়েই চলেছে খুন, অপহরণ ও মাদক কারবার। এজন্য নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন সীমান্ত পেরিয়ে আসতে না পারে সেজন্য সর্তক থাকতে হবে। বিজিবি জানায়, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবির সদস্যরা। সার্বক্ষণিক রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন।