অনিয়ম : মেডিকেল সেন্টারে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ

মেট্রো ডায়াগনস্টিকের এন্ডোসকপি সেবা বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ জুলাই, ২০২৪ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

নানা অনিয়মের দায়ে নগরীর জিইসি মোড় এলাকার বেসরকারি মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়। এছাড়া অপর এক নোটিশে নগরীর গোল পাহাড় মোড় এলাকার মেট্রো ইমেজিং অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এন্ডোসকপি সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ইফতেখার আহমদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, নানা অনিয়মের দায়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে জারি করা এক নোটিশে মেডিকেল সেন্টারে রোগী ভর্তি কার্যক্রম গতকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষকে আগামী ৭ দিনে অনিয়মের বিষয়গুলো সংশোধন করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী পরিদর্শন রিপোর্টের আলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে মেট্রো ইমেজিং অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এন্ডোসকপি সেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে অবহিত করে পুনরায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ জুলাই বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এ সময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অনুপস্থিতিসহ বিভিন্ন অনিয়মত্রুটি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে তাদের সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো চিকিৎসক নেই। মন্ত্রী আসার খবরে একজন চিকিৎসক ছুটে এলেও তার ইউনিফর্ম ছিল না। হাসপাতালের ভেতরে খালি অঙিজেনের সিলিন্ডার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া একইদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেট্রো ইমেজিং অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম দেখতে পান। এন্ডোসকপির ফরমে অ্যানেসস্থেশিয়ালজিস্টের নাম না থাকা, এন্ডোসকপি পরবর্তী রিকভারি কক্ষ না থাকা, প্রশিক্ষিত নার্স ও এন্ডোসকপি টেকনিশিয়ান না থাকা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার দিয়ে এন্ডোসকপি করানো, অঙিজেনের খালি বোতল সাজিয়ে রাখা এবং বিলের অসামাঞ্জস্যতা দেখতে পান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.১২%
পরবর্তী নিবন্ধএনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি