বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা অনিবার্য পরিস্থিতি ছাড়া ভোটের বিলম্ব চাই না। যে ঘোষণা হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমরা নির্বাচন চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের এ অবস্থানের কথা জানান। খবর বিবিসি বাংলার।
আপনাদের দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশের বাইরে নির্বাচন বিষয়ে এ অবস্থায় তফসিল যদি ঘোষণা হয় আপনারা বিষয়টিকে কীভাবে দেখবেন, একই সঙ্গে গতকাল এনসিপি এসে বলেছে রাজনীতির এমন পরিস্থিতিতে তফসিল ঘোষণার আগে বিষয়টা বিবেচনা করার জন্য, আপনাদের কী অবস্থান সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বিএনপির অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহ ক্রমে আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের মাতা এবং এ দেশের দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। তার আশু মুক্তি কামনা করে সবাই দোয়া করছেন।
আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য সর্বাধিক চেষ্টা চালাচ্ছি এবং আল্লাহর মেহেরবানীতে সম্ভবত আগামীকাল ভোরে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আশাকরি তিনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা কিছু আশা করি তো তাই না, যে এই হবে। তাহলে খুব দ্রুত সুস্থ হবে এবং এটাই বিবেচনা রেখে আমরা। আপনারা খেয়াল করেছেন যে আমরা আজকেও কিন্তু আরও কিছু প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছি। অর্থাৎ আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আছি।
তিনি বলেন, খোদা না করুন অনিবার্য কোনো পরিস্থিতি ছাড়া আমরা এ প্রক্রিয়ার বাইরে যেতে চাই না। কাজেই আমরা আশা করি যে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে উনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং এসে উনি এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা তো বরাবর যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। আজকে থেকে না। এখন থেকে ১৪, ১৫ বছর থেকে জনগণের অধিকার আমরা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। তাদের ভোটের অধিকার দিতে চাই। এবং সে অধিকার প্রয়োগ করেই যেন তারা নির্ধারণ করতে পারে যে আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব কে পাবে। তাদের এই অধিকার বিলম্বিত হোক এটা আমরা চাই না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। এবং আমরা এখনো বলছি যে যথাসময়ে নির্বাচন হোক, যেটা ঘোষণা হয়েছে সেই অনুযায়ী। এবং সে কারণে যখন তফসিল ঘোষণা করার কথা, এটা যদি বিলম্বিত করার কথা বলি তাহলে তো নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলা হবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এখনো এমন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি তো বাংলাদেশের নাগরিক। এটা নিয়ে আলোচনারই কিছু আছে মনে করি না। তিনি (তারেক রহমান) আইসা পড়বেন, এটা তো নাম উঠানোর (ভোটার তালিকায়) জন্য সময় পার হয়ে যায় নাই তো। এ নিয়ে কোনো সংকট নেই। এটা আপনারও দুশ্চিন্তা করবেন না।









