অনাবাদি জমি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবাদযোগ্য করা হোক

| মঙ্গলবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কৃষি জমি খালি রাখা যাবে না অথচ দূষিত পানির কারণে পটিয়াতে শত শত একর জমি অনাবাদি হয়ে আছে আজ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কোন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। খাল গুলোতে বর্জ্য, কল কারখানা, ফ্যাক্টরির নির্গত দুর্গন্ধ যুক্ত বিষাক্ত ময়লা ফেলার কারণে মানুষ চলা ফেরা করা দায়। চাষাবাদের কল্পনাও করা যায় না। চাষাবাদের উপযোগী করতে হলে খালকে দূষণ মুক্ত করতে হবে। আর খাল দূষণ মুক্ত করতে হলে ফ্যাক্টরীর বর্জ্য খালে ফেলা বন্ধ করতে হবে। তারপর কৃষক উপযোগী পরিবেশে চাষাবাদ করতে পারবে। জমি এখন ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কৃষকদের নিজ ব্যবস্থাপনায় এই সমস্যা সমাধান কখনো সম্ভব নয়। উপজেলার জঙ্গলখাইন, হাবিলাসদ্বীপ, বড়লিয়া, ধলঘাট ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ইউনিয়নের অনাবাদি জমিতে কখনো কৃষি অফিসারদের চোখ পড়েনি মনে হয়। তারাতো কাজ করুক আর না করুক বেতন পেয়ে যায়। কৃষকরা চাষ না করলে তাদের ফসল আসে না। জমিতে ফসল ফলানো যাদের কর্ম তারা এখন নিরুপায়। তারা কাজ না করলে কেউ বেতন দেয়না। কৃষি অফিসাররা সে কথা হয়ত ভুলে গেছেন। উক্ত অনাবাদি জমি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবাদ যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হোক। এটাই দাবী।

মো. আবু ছালেহ্‌

সভাপতি, ক্লিন বাংলাদেশ

পূর্ববর্তী নিবন্ধজর্জ হ্যারিসন : বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু
পরবর্তী নিবন্ধমোদ্দা কথা