সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে নতুন করে ‘পাইলট প্রকল্প’ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অনলাইন মনোনয়ন সাবমিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা, আগামী কমিশন সভায় তা নিয়ে আলোচনা করব। কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে এটি বাস্তবায়ন করব। প্রথমে এটির পাইলট প্রজেক্ট নেব। চ্যালেঞ্জ কী ধরনের, তা দেখব। আমরা চিন্তা করি, সুন্দর জিনিস সবাই একসেপ্ট করবে। খবর বিডিনিউজের।
প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত হলে প্রথমে ছোট ছোট নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরুর ভাবনা ইসির। আহসান হাবিব বলেন, প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ, তারপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এগুলোতে সফল হলে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
২০১৬ সালে স্থানীয় সরকারের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার ঘটনার পর ওই সময় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। পরে জেলা পরিষদের ভোটে এ সুযোগ থাকলেও প্রার্থীদের অনাগ্রহে তাতে সাড়া পায়নি ইসি। বর্তমান কমিশন আচরণবিধি প্রতিপালনের সুবিধার কথাও বিবেচনায় নিয়েছে, তাই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, এখন স্কুল–কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছুর আবেদনই অনলাইনে সাবমিশন হচ্ছে। অনলাইনে সাবমিশন দিলে সুবিধা আছে। অভিযোগ আছে, যারা সাবমিশন করতে চায় তাদের অনেকে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, এই চিন্তা–ভাবনা কীভাবে বাস্তবায়ন করব, আমায় আইসিটি বিভাগ সেটির একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। মনোনয়ন জমায় যেন অসুবিধা না হয়, সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।











