অনলাইন নিলামে উঠছে ফেব্রিক্সসহ ৪৯ লট পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস দরপত্র জমা যাবে কাল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত

জাহেদুল কবির | শনিবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্সসহ ৪৯ লট পণ্য অনলাইন নিলামে (ই অকশন) তোলা হচ্ছে। আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অনলাইনে দরপত্র জমা দেয়া যাবে। এছাড়া আগ্রহী বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) আগামী ৩ ও ৪ ডিসেম্বর সরাসরি পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ইঅকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরনের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ইঅকশনে তোলা হয়। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরনের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। ১৬ মে নিলামে তোলা হয় ৯০ লট পণ্য। ২৬ জুন নিলামে তোলা হয় ৬২ লট পণ্য। ১৮ সেপ্টেম্বর তোলা হয় ৪৬ লট পণ্য এবং সর্বশেষ ৫ নভেম্বর তোলা হয়েছে ৪৫ লট পণ্য।

বিডাররা বলছেন, অনলাইন নিলামে এখনো অনেক বিডার অভ্যস্ত হতে পারেননি। এছাড়া অলনাইন নিলামের অনেকগুলো কাজ এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতে হচ্ছে। শুধুমাত্র দরপত্র জমাটা অনলাইনে হচ্ছে। তাই অনলাইন নিলামের পাশাপাশি যদি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও নিলাম আয়োজন করা হয়, তবে বিডাররা উপকৃত হতেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. সেলিম রেজা জানান, এটি আমাদের একটি নিয়মিত কাজ। সেই কাজের অংশ হিসেবে এবার ৪৯ লট পণ্য অনলাইন নিলামে তোলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্থিরতা কঠোর হাতে দমন করা হবে : ভূমি উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধনিদানতরানী ভরাট, অনিশ্চয়তায় তিন হাজার একর জমির লবণ উৎপাদন