চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব। পরমত সহিষ্ণুতা তাঁর একটি অন্যতম বড় গুণ। এই গুণের অভাব এখন আমাদের মাঝে প্রকট। আমাদের অনেকেরই ধারণা আমরা যা বলছি তাই ঠিক, কিন্তু আমাদের মত ও বিশ্বাসের বাইরেও যে আরো মত থাকতে পারে, শিক্ষণীয় বিষয় থাকতে পারে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। কিন্তু অধ্যাপক খালেদ সে গুণের অধিকারী। তিনি নিজের মত স্পষ্ট করে প্রকাশ করতেন এবং অন্যের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন, সম্মান দেন। তিনি ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার ঊর্ধ্বে। নৈতিকতা ও আদর্শের যে প্রদীপ তিনি বহন করেছেন তার শিখা বহুকাল প্রজ্জ্বলিত থাকুক।একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে গতকাল শনিবার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর রীতা দত্ত। এ বছর গদ্য বিভাগে ‘অঙ্ক স্যারের বুদ্ধি’ গ্রন্থের জন্য শিশুসাহিত্যিক আখতারুল ইসলাম ও পদ্য বিভাগে ‘চাঁদ নেমেছে দিঘির জলে’ কিশোর কবিতা গ্রন্থের জন্য কানিজ ফাতিমা এ পুরস্কার লাভ করেন। এতে অতিথি হিসেবে আছেন সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক রাশেদ রউফ, কবি ও শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, জসীম মেহবুব, আজিজ রাহমান ও অধ্যাপক খালেদের পুত্র মোহাম্মদ জোবাইর ও মোহাম্মদ মুনীর। অনুভূতি ব্যক্ত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই লেখক। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক এস এম আব্দুল আজিজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক বিপুল বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, সংগঠক রিটন কুমার বড়ুয়া, কবি–চিকিৎসক প্রণব কুমার চৌধুরী, অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু।
বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে নিয়ে ছড়া পাঠ করেন উৎপলকান্তি বড়ুয়া, মর্জিনা আখতার, বাসুদেব খাস্তগীর, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, গৌতম কানুনগো, কাঞ্চনা চক্রবর্তী, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, তানজিনা রাহী, সৈয়দ জিয়াউদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই লেখকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও সম্মানী তুলে দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।