রোহিত শার্মার পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে টানাপোড়েন ও বিতর্কের সমাপ্তি ঘঠেছে। তাকে কিংবা ভারতীয় বোর্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উপায়ও নেই এখানে। যে কারণে রোহিতের যে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল সেটি হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অধিনায়কদের নিয়ে আয়োজন বাতিল করেছে আইসিসি। বৈশ্বিক আসরগুলো শুরুর আগে সাধারণত সব দলের অধিনায়ককে নিয়ে একটি সেশন থাকে আয়োজক দেশে। অফিসিয়াল ফটোসেশন, সংবাদ সম্মেলন, এরকম নানা আয়োজন থাকে। প্রতিবারই অবশ্য এটা হয়নি। মাঝেমধ্যে নানা জটিলতায় ব্যতিক্রমও হয়েছে। এবার যেমন হলো। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না থাকলেও অধিনায়কদের নিয়ে আয়োজন ও ফটোশুট ছিল। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে লন্ডনে চোখধাঁধানো ফটোসেশনের পাশাপাশি অধিনায়কদের নিয়ে জমকালো আয়োজন ছিল একটি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও ভারতে ছিল কিছু আয়োজন।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বলছে ‘লজিস্টিক্যাল’ কারণে এবার অধিনায়কদের নিয়ে কোনো আয়োজন রাখছে না আইসিসি। ভারতীয় দল পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাদের ম্যাচগুলি আয়োজন করা হচ্ছে দুবাইয়ে। দুই দেশের চার ভেন্যুতে খেলা হবে। এছাড়াও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলি বিভিন্ন ম্যাচ খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এজন্য জটিলতা সৃষ্টি হওয়াতেই অধিনায়কদের অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা বলছে পিসিবি। বেশির ভাগ দল পাকিস্তানে যাবে একদম শেষ সময়ে। অস্ট্রেলিয়া সেখানে পৌঁছবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। গত বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও অবশ্য অধিনায়কদের নিয়ে প্রথাগত আয়োজন করতে পারেনি আইসিসি। ক্যারিবিয়ানের বিভিন্ন দ্বীপে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ছিল দলগুলি, গা গরমের ম্যাচ নিয়ে তাদের ব্যস্ততা ছিল। সেবার নিউ ইয়র্কে ‘লাইট শো’ করে টুর্নামেন্টের সূচনা করেছিল আইসিসি। এবার কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বা আইসিসির পক্ষ থেকে আয়োজন না থাকলেও পিসিবি একটি আয়োজন রাখছে ১৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে। পিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে আইসিসির সমর্থন আছে এবং আইসিসি কয়েকজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তানে। অধিনায়কদের আয়োজন বাতিল হওয়ায় রোহিত শর্মার পাকিস্তান সফরের ব্যাপারটিও শেষ হয়ে গেল। ভারতীয় দল সেখানে সফরে না গেলেও অধিনায়ককে যেতে হবে কি না, এটা নিয়ে নানা আলোচনা–বিতর্ক চলছিল সেখানকার ক্রিকেট ও রাজনৈতিক মহলে। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা ব্যাপারটি নিয়ে সেভাবে আলোচনা করেননি। এখন আর আলোচনার প্রয়োজন নেই।