বেশ কিছুদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে একটা বিষয় বেশ আলোচিত হচ্ছে আর অধিনায়ক থাকতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও আগের দিন বিসিবির বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন শান্ত সে বিষয়ে তার সাথে কোন আলাপ করেনি। পত্রিকা পড়েতো আর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না। তাই গত বুধবার বিসিবির বোর্ড সভা শেষে রাতে চট্টগ্রামে এসেছেন অধিনায়ক শান্ত সহ দলেল খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফের সাথে বসার জন্য। তবে বিসিবি সভাপতির চট্টগ্রামে আসাটা সুখকর হলোনা। কারণ এসেই তাকে দলের হার দেখতে হচ্ছে। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট চলাকালে ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন আমি এখনো তাদের সাথে বসতে পারিনি। আমি বসে তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব আসলে কি করতে হবে। আর আমিতো একা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। নাজমুল হোসেন শান্ত যদি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান তাহলে সেটা কেন বোর্ড সভাপতিকে জানালনা? তেমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন সেটাইতো আমাকে জানতে হবে আগে। আর নেহায়েত যদি কেউ অধিনায়কত্ব ছাড়তে চায় তাহলেতো তার জণ্য বাধা নেই। তবে কারনতো জানতে হবে আমাকে।
শান্ত যদি অধিনায়কত্ব ছেড়েও দেন তাহলে বোর্ডের পছন্দের তালিকায় কে রয়েছেন। তেমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন এই মুহুর্তে অনেকেই আছেন। যেমন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে অনূর্ধ্ব–১৯ দলের অধিনায়ক ছিল। তার নেতৃত্বে দল বিশ্বকাপে খেলেছিল। ক্লাব পর্যায় কিংবা বিপিএলেও তার অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিন ফরম্যাটেই খেলছেন মিরাজ। দুটি ফরমেটেতো অবশ্যই। তাই তাকে বিবেচনায় রাখা যায়। তাসকিন আহমেদকেও বিবেচনায় রাখা যায়। তিনি বলেন অধিনায়কত্ব এমন একটা জিনিস যেটা কারো কারো জন্য একটা চাপ। তাই একজনকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আবার কেউ কেউ আছেন যারা অধিনায়কত্ব করতে করতে শিখে। আবার কেউ কেউ নিজেকে প্রস্তুত করে অধিনায়কত্ব করে। তাই আমাদের বেশ কিছু অপশন রয়েছে। এখণ বসে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরাতো হুট করে কাউকে অধিনায়কত্ব চাপিয়ে দিতে পারিনা। তিনি বলেণ আমি যেহেতু এসেছি এখণ খেলোয়াড়দের নিয়ে বসব, কোচ এবং কোচিং স্টাফের সাথে বসব। আগে তাদের কথা শুনি। তারপর সিদ্ধান্ত যা হয় তা নেওয়া হবে।
কথা হয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দেশীয় কোচদের বিবেচনা করা যায় কিনা। তিনি বলেণ আমাদের বেশ কিছু ভাল কোচ রয়েছে। তাদের মধ্য থেকে সহকারী কোচ পাওয়া যেতে পারে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত হেড কোচ নিয়োগ করেছি। এরপর দেখে সময় নিয়ে লম্বা সময়ের জণ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। তবে দলের সহকারী কোচ হবে দেশীয়। এক্ষেত্রেও আমি নাম বলতে চাইনা। যোগ্য অনেকেই আছেন। তাদের মধ্য থেকে আমাদের বেছে নিতে হবে। আশা করছি আমরা এক একটা করে কাজ গুলো সম্পাদন করতে পারবো। বোর্ডের ১১ জন পরিচালেকের পদ শূন্য করা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি বলেন তাদের অনুপস্থিতিতেইতো আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি এবং সভা করেছি। সমস্যাতো হয়নি। তাই এই মুহুর্তে তাদের শূন্য পদ পুরনের বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছিনা। ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনও একটা প্রসেসের ব্যাপার। সেটা প্রক্রিয়াগতভাবে এগুবে।