পাকিস্তানকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়েই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সিরিজে একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুটা হয় তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ হেরে। এরপর প্রথম দুই টি–টোয়েন্টিতেও কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারেনি। এ অবস্থায় শেষ ম্যাচ খেলার আগে পাকিস্তান সিরিজের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস। গতকাল শুক্রবার হায়দ্রাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পোথাস বলেন আমার মনে হয় আমরা দ্রুত ভুলে যাচ্ছি। পাকিস্তান থেকে মাত্রই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আসলাম। যেটা আগে আমরা কখনওই করে দেখাতে পারিনি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সুপার এইটে খেলেছে যেটা আগে ঘটেনি কখনও। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমরা এসেছি সেখানে ১টি করে ম্যাচ জিতে এসেছি যেটাও আগে কখনও ঘটেনি। আমরা গতদিন কী ঘটেছে এবং আজকে কী ঘটেছে তা দেখার ব্যাপারে অনেক পারদর্শী । কিন্তু গত ১২ মাসে কী ঘটেছে তা মনে করতে পারছি না। গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই। আমরা যা দেখতে পারছি তা হচ্ছে এখানে গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে সেটা মেনে নিন এবং কৃতিত্ব দিন যেখানে তার কমতি আছে। ভারতের সঙ্গে দুটি টি–টোয়েন্টিতেই পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। প্রথমটিতে ৭ উইকেট ও দ্বিতীয়টিতে হেরেছে ৮৬ রানে। বাউন্ডারি হাঁকানো বা দ্রুত রান তোলার গতিতেও খুব একটা পাল্লা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। এর জন্য শারীরিক সক্ষমতাকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন পোথাস। তিনি এখানে বেশ কঠিন কথা বললেন। একজন যদি ৯৫–১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। অবশ্যই এখানে টাইমিং আছে, টেকনিক আছে, সব আছে। আমরা প্রতিনিয়ত কাজও করে যাচ্ছি। তিনি বলেন আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। আইপিএল দুনিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। প্লেয়ারদের কোয়ালিটি মিলিয়ে দারুণ টুর্নামেন্ট।
আইপিএল খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য। ফলে এখানে আপনি পুরো ভিন্ন দুটি জিনিসের তুলনা করছেন যে ভারতের কটি ছক্কা এবং আমাদের কটি ছক্কা। এটা অনেকটা এমন হয়ে গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কটি ছক্কা মেরেছে আর আমরা কটি। তারা অনেক শক্তিশালী ক্রিকেটার। আমরা স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিংয়ের দিকে উন্নতি করছি। কিন্তু জেনেটিকস নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারবেন না।