মূলত ২০১৬ সালের পর থেকেই টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। গত মে মাসে পাকিস্তানে গিয়ে হোয়াইটওয়াশড হতে হয় তাদের। ঘরের মাঠে ২০২১ সালে সবশেষ সিরিজেও একই ফল। আরেকটি সিরিজে নামার আগে তাই অতীত নিয়ে না ভেবে সেরা ক্রিকেট খেলে রেকর্ড বদলাতে চান লিটন কুমার দাস। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরু থেকেই বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সংস্করণে পরিসংখ্যান আরও নাজুক। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে ২২ ম্যাচে জয় মাত্র ৩টি। এর একটি আবার ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে। যেখানে খেলেনি কোনো দেশের মূল দল। মূল দলের লড়াইয়ে সবশেষ ১২ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একটিও জয় নেই। মিরপুর শের–ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবশেষ ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে জিতেছিল তারা। একই মাঠে এর আগের বছর ছিল ৭ উইকেটে জয়। এর আগে–পরে দেশে কিংবা দেশের বাইরে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশের হোম অব ক্রিকেটে আজ রোববার শুরু হবে দুই দলের নতুন সিরিজ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন বলেন, ইতিবাচক মানসিকতায় আগের রেকর্ড বদলানোর লক্ষ্য তাদের। ‘আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে ওই সব জিনিসেই আগের রেকর্ড বদলে যাবে।’
এই সিরিজে বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হতে পারে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফর। সেখানে প্রথম ম্যাচ হারলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টি–টোয়েন্টির ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরেন লিটনরা। তিন দিনের ব্যবধানে শুরু হতে যাওয়া নতুন সিরিজে তাই আত্মবিশ্বাসের কমতি থাকবে না তাদের। তবে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা সিরিজ জয়ের নজির নেই তেমন। এখন পর্যন্ত মাত্র দুবার টানা একাধিক সিরিজ জিতেছে তারা। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। ২০২২–২৩ সালে হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে। এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও টানা সিরিজ জয় সম্ভব কিনা জানতে চাইলে, সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘চেষ্টার কখনও কমতি থাকবে না। শুধু দুইটা কেন, যদি ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো সিরিজও হয়, আমাদের একই মানসিকতা থাকবে, একই লক্ষ্য থাকবে– সিরিজ জেতার। তবে নির্দিষ্ট ম্যাচে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’ ‘শ্রীলঙ্কায় দুইদিন আগে যেটা ঘটে গেছে ওটা অতীত। এখন এটা নতুন জায়গা, নতুন ভেন্যু– সবকিছু নতুনভাবে নিতে হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে।
আমরা প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য। দেখি কী হয়।’ আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত হওয়ায়, এশিয়া কাপের আগে এটি বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। তাই দল গুছিয়ে নেওয়ারও শেষ সুযোগ এটি। লিটন বললেন, কন্ডিশন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। ‘নির্দিষ্ট দিন, নির্দিষ্ট কন্ডিশনের ওপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। একই একাদশ নাকি বেঞ্চের শক্তি দেখা। আমাদের দলের যে বেঞ্চের শক্তি আছে, সবাই খেলার মতো সামর্থ্যবান। আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ঠিক করব, কোন সময় কাকে খেলানো যায়। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করব।’