অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে নগরীর বটতলী–হাটহাজারী রেল সড়কের অনেকাংশ। বৃষ্টিতে পুরোপুরি তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ স্টেশন। এ কারণে শহর থেকে গতকাল রোববার কোনো শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যায়নি। এ কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে অতিবৃষ্টির কারণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে বৃষ্টিপাতে হাটহাজারীর নন্দীরহাট এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় চট্টগ্রাম–হাটহাজারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। সকালের কয়েকটি শিক্ষকবাহী বাস ছেড়ে গেলেও বেশিরভাগ শিক্ষক ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারেননি। সার্বিক বিবেচনায় গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যলয়ের ২২টি বিভাগের ২৪টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
অনুষদ সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ইতিহাস, দর্শন, নৃবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, রসায়ন, সমুদ্রবিজ্ঞান, পালি, ইসলামিক স্টাডিজ, ইংরেজি, সংস্কৃত, শিক্ষা ও গবেষণা, আরবি, মার্কেটিং, মনোবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ফাইন্যান্স, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের গতকালের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে চারুকলা, ফিজিক্যাল এড্যুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে।
ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জয়নাল আবেদিন জানান, অতিবৃষ্টির কারণে রেল সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এজন্য শাটল চলাচল বন্ধ রয়েছে। নগরীর বটতলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রোববার কোনো শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়নি। কখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে শাটল চলেনি। এজন্য বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে স্ব স্ব বিভাগ। আর প্রায় সকল বিভাগের ক্লাস কার্যক্রমও স্থগিত ছিল। রেল সড়ক স্বাভাবিক হলে শাটল ট্রেন চলাচল করবে।