অতি বামপন্থীরা এখন জামায়াত–শিবিরের লেজুড়বৃত্তি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার গণভবনে ছাত্রলীগের নারী নেতাদের সঙ্গে হওয়া মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।জামায়াত–শিবির কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চেপেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ আন্দোলনের ঘাড়ে চেপেই তো বিএনপি–জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেল। তার সঙ্গে জুটলো কিছু অতি বাম, অতি ডান। এটা অদ্ভুত ব্যাপার। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতি বামপন্থীরা এখন শিবিরের লেজুড়বৃত্তি করে, জামায়াতের লেজুড়বৃত্তি করে। তাদের সঙ্গে এখন এক সাথে হয়ে গেল। অদ্ভুত সমাজ, আমি জানি না এদের কীসের আদর্শ, কীসের নীতি। ’
আন্দোলনের খরচ কে দেয় এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এরা এত টাকা কোথা থেকে পায়? কোথা থেকে পেল ? তাদের আন্দোলনের খরচ, কে দিয়েছে সে টাকা?’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা দেশের সম্মান ধূলিসাৎ করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দিনরাত পরিশ্রম করে যে বাংলাদেশটাকে সম্মানের স্থানে নিয়ে এসেছিলাম, সেটাকে ধূলিসাৎ করে দিল। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখের। ’ তিনি বলেন, ‘তারা তাদের আন্দোলন করে এবং আমাকে খাটো করতে যেয়ে বাংলাদেশটাকে কোথায় টেনে নামালো সেটা একবার চিন্তা করে না। এদের মধ্যে যদি এতটুকু দেশপ্রেম থাকত, দায়িত্ববোধ থাকত তাহলে এটা করত না। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের ফসলটা হলো আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেওয়া। বাংলাদেশের মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করি, তাদের একটা উন্নত জীবন দিচ্ছি সেটাকে নষ্ট করে দেওয়া। সেটাই তো করা হল। ’
সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলো জনগণের জন্য সেগুলো একে একে তারা ধ্বংস করে দিল। কার স্বার্থে এটা তারা করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধটা কী করলাম? মানুষের জীবনমান উন্নত করা? মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা? চিকিৎসার ব্যবস্থা করা? বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছি। আমার বাবা–মা সবাইকে হত্যা করেছে। তারপরেও সেই কষ্ট বুকে নিয়ে এসে শুধুমাত্র এইদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, মানুষ একটু ভালো থাকবে। মানুষ উন্নত জীবন পাবে। ’
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি। সেই সম্মানটাতো আমি এনে দিয়েছি বাংলাদেশকে। এটাতো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যেখানে যাবে বাংলাদেশ শুনলে সমীহ করে এবং মর্যাদার চোখে দেখে। ’