অট্টালিকার ভারে ডুবছে নিউ ইয়র্ক

| বৃহস্পতিবার , ২৫ মে, ২০২৩ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

একদিকে বৈশ্বিক নগরায়ণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠছে গগণচুম্বী ইমারত, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, সামগ্রিক এই প্রভাবে আক্ষরিক অর্থেই ডুবতে বসছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। নতুন এক গবেষণার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক জুড়ে যে কয়েক লাখ ইমারত গড়ে উঠেছে, সেগুলোর ওজনে দেবে যাচ্ছে শহরটির উপরিতল। এই প্রক্রিয়া ৮৫ লাখ মানুষের শহর নিউ ইয়র্ককে ফেলে দিচ্ছে ঝুঁকির মুখে, কারণ শহরের চারপাশ ঘিরে বৈশ্বিক হারের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ২০৫০ সাল নাগাদ উচ্চতা আট থেকে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, মানবসৃষ্ট জলবায়ু সংকটের কারণে ঘনঘন অতিবৃষ্টি, নরইস্টার ও হারিকেনের মত দুর্যোগ আসবে আটলান্টিক মহাসাগর সংলগ্ন নিউ ইয়র্কে। খবর বিডিনিউজের।

গবেষণা দলের প্রধান লেখক ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ভূপদার্থবিদ টম পার্সনস বলেন, সমুদ্র থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। কিন্তু নিউ ইয়র্কের স্যান্ডি ও ইডায় কয়েকটি বড় হারিকেনের ঘটনা ঘটেছিল, যার প্রভাবে তখন প্রচুর বৃষ্টিতে শহর প্লাবিত হয়। নগরয়নের কিছু প্রভাবেও শহরে পানি প্রবেশ করেছিল। নতুন ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে আর্থ ফিউচার জার্নালে। উপকূল, হ্রদ ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বহুতল ভবন কীভাবে ভবিষ্যত বন্যার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেটি তুলে ধরাই ছিল গবেষণার লক্ষ।

এজন্য গবেষকরা নিউ ইয়র্ক শহরের ভবনের সংখ্যা এবং সেগুলোর ওজন পরিমাপ করেন। তাদের হিসাবে, নিউ ইয়র্কের পাঁচটি প্রশাসনিক এলাকার জুড়ে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৪টি ভবন রয়েছে, যেগুলোর ওজন প্রায় ১ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ড (৭৬২ বিলিয়ন কেজি), যা সম্পূর্ণ যাত্রী বোঝাই ১৯ লাখ বোয়িং ৭৪৭৪০০ উড়োজাহাজের ওজনের সমান। এরপর গবেষণা দলটি সিমুলেশন মডেল ব্যবহার করে মাটিতে বিশাল এই ওজনের প্রভাবগুলো জানার চেষ্টা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইউসুফের ইন্তেকাল
পরবর্তী নিবন্ধবাজেটে শিক্ষাখাতে ২০% জিডিপির ৬ ভাগ বরাদ্দের দাবি