প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং ছাত্র রাজনীতি করেছি, তখন দেখেছি ছাত্ররাই ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুও ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর তিনি ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, অনেকে যুগ যুগ ধরে ছাত্ররাজনীতি করছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শুনলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান করত, এখন শিক্ষার্থী দেখলে মানুষ পকেট চেক করে সব ঠিকঠাক আছে কিনা, ভয়ে থাকে লাঠি দিয়ে মারে কিনা। একজন ছাত্র নেতার কাজ পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কথা বলা। কারো ক্ষতি কিংবা টেন্ডারবাজি করা না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল কর্তৃক আয়োজিত একজন বঙ্গবন্ধু, একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও একটি দেশ শীর্ষক পাবলিক লেকচারে গবেষক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর মুনতাসির মামুন এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে হলের টেলিভিশন কক্ষে লেকচারটি আয়োজিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে।
প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে মুনতাসির মামুন বলেন, এখন ছাত্ররাজনীতি পরিবর্তন হয়েছে। যা বঙ্গবন্ধু চাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে টেন্ডার নামে কোনো কিছু পাইনি। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দিই কিন্তু কাজ করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। এখন ছাত্ররাজনীতির নামে নেতিবাচক অনেক কিছুই হচ্ছে। ছাত্র নেতারা দামি গাড়ি নিয়ে ঘুরে, যা আমি ৪৬ বছর শিক্ষকতা করেও পারিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূলমন্ত্র ছিল সততা। সততায় আজ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব নেতাতে পরিণত করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যদি আমরা ভালোবাসতে চাই, তাহলে তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন, যে আদর্শের কথা বলে গেছেন তা মনে রাখতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোানর বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সকলের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. নঈম হাছান চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও হলের আবাসিক শিক্ষক ঝুলন ধরের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া ও চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইনসহ অনেকেই।