সমাজকাঠামোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে অস্তিত্ব গেড়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতি। তবে এই দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে যারা সাহস নিয়ে এগিয়ে আসেন তারা হয়ে ওঠেন পারিবারে হাসির পাত্র, সহকর্মীদের করুনার পাত্র ও সমাজে অচল। হয়তো কখনো কখনো এ ধরনের মানুষগুলো হয়ে যান পরিস্থিতির অসহায় শিকার৷ এরকমই একটি প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে অঙ্গন থিয়েটার ইউনিট প্রযোজিত ‘বদলি’ নাটকে। নাটকটি গতকাল মঞ্চস্থ হলো কর্ণফুলী সাংস্কৃতিক উৎসবে। নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ছয়দিনব্যাপী কর্ণফুলী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩।
প্রতিদিন মিলনায়তনে নাটকের পাশাপাশি আর্ট গ্যালারী মিলনায়তন ও মুক্তমঞ্চে চলছে নানা অনুষ্ঠান। গতকাল মঙ্গলবার ছিলো উৎসবের পঞ্চম দিন। পঞ্চম দিনের আয়োজনে বিকেল ৪.৩০টা থেকে মুক্তমঞ্চে আবৃত্তি শিল্পী উমে সিং মারমার উপস্থাপনায় দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সংগীততীর্থ ও প্রত্যয় শিক্ষা সাংস্কৃতিক একাডেমি। বৃন্দ আবৃত্তি করে স্বপ্নযাত্রী। দলীয় নৃত্যে ছিল নৃত্য নিকেতন এবং চট্টলকুড়ি। একক সংগীত পরিবেশন করেন অনামিকা তালুকদার, শাকিলা জাহান, তাপস বড়ুয়া, কান্তা দে, ইকবাল হায়দার, ফরিদ বঙ্গভাষী, কেশব জিপসী ও শহীদ ফারুকী। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী শাওন পান্থ ও রেখা নাজনীন।
‘কর্ণফুলীর তীরেই মেলে ভালোবাসা–প্রেম’ শিরোনামে প্রীতি বিতর্ক পরিবেশন করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। আবৃত্তিশিল্পী আশিক আরিফিনের সঞ্চালনায় গ্যালারী হলে ছিলো দেশের নন্দিত কবিদের অংশগ্রহণে কবিতাপাঠ৷ এতে সভাপতিত্ব করেন কবি ফাউজুল কবির। উদ্বোধন করেন কবি খুশিদ আনোয়ার। কবিতাপাঠে অংশ নেন অংশ নেন কবি সাথী দাশ, আনন্দ মোহন রক্ষিত, অভীক ওসমান, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ওমর কায়সার, আকতার হোসাইন, শুক্লা ইফতেখার, রিজোয়ান মাহমুদ, আবু মুসা চৌধুরী, হাফিজ রশিদ খান, হোসাইন কবির, খালেদ হামিদী, সেলিনা শেলী, কামরুল হাসান বাদল, বিজন মজুমদার, নাজিমুদ্দিন শ্যামল, দিলীপ কির্তুনীয়া, ভাগ্যধন বড়ুয়া, সাঈদুল আরেফীন, পুলক পাল, শাহীন মাহমুদ, মোহাম্মদ জোবায়ের, অনুপমা অপরাজিতা, তাপস চক্রবর্তী, রেহেনা মাহমুদ, আরণ্যক টিটু, মেরুণ হরিয়াল, মুয়িন পারভেজ, আলী প্রয়াস, ফুয়াদ হাসান, স্বরুপ সুপান্থ, রিমঝিম আহমেদ, সৈকত দে, নাফিক আবদুল্লাহ, আজিজ কাজল, বিটুল দেব, এবং বিবিকা দেব।
শিল্পকলার মূল মিলনায়তনে পরিবেশিত হয় অনীল সাহার রচনা ও সনজীব বড়ুয়ার নির্দেশনায় অঙ্গন থিয়েটার ইউনিট প্রযোজিত নাটক ‘বদলি’। এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে শিল্পকলা গ্যালারী ভবনের দ্বিতীয় তলায় চারুকলা প্রদর্শনী ও তৃতীয় তলায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে এবং শিল্পকলা প্রাঙ্গণজুড়ে বইমেলায় অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, কালধারা, বলাকা, শৈলী, খড়িমাটি ও তৃতীয় চোখ। উৎসব সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ইস্পাহানী লিমিটেড। ৬ দিনের এ আয়োজনে শিল্প সংস্কৃতির প্রায় সবগুলো মাধ্যমকে একত্রিত করে শতাধিক সংগঠনের সহস্রাধিক শিল্পীর অংশ নিচ্ছেন।