না, আমি ওদের আর মানুষ বলি না, গতকাল
বহু বীর প্রসবিনী চট্টগ্রামে যারা বাঙালির
শৌর্য বীর্য গৌরবের সুরম্য আকর চিহ্নগুলো
মুছে ফেলতে লাঠি ও শাবল হাতে হালাকু খানের
পাশবিক হিংস্রতায় ফের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ;
হিংসায় প্রমত্ত হিংস্র ওই পিতৃ পরিচয়হীন
বেজন্মা বজ্জাতগুলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবের অপূর্ব ম্যুরাল আর আমাদের
স্বাধীনতা সংগ্রামের নান্দনিক গাথাচিত্রমালা
গুঁড়িয়ে দিয়েছে; কেন? এ জঘন্য মানসিক ব্যাধি
আসলে কী রাজনীতি, না ক্ষমতা লাভের জন্য
ভোটের লড়াই? ওরা গণদুশমন –এ লড়াইয়ে
নির্ঘাত হারের ভয়ে দেশে ও বিদেশে নানামুখী
ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে তারা আজ স্বরূপ ধরেছে–
পুরনো লেবাস গায়ে মাঠে মঞ্চে আস্ফালিয়া নাচে।
২.
অগুনিত বধ্যভূমি, শহিদের প্রাণের কাফেলা
ঘুমের ভেতরে স্বপ্নে গতরাতে আমাকে বলেছে,
ওদের কঠোর হাতে না দমালে হালাকু বাহিনী
আবার আগুনে মারবে শত শত নিরীহ মানুষ,
দিনাজপুরের রাশেদাকে বৈধব্যের হাহাকারে
টানতে হবে দুর্বিষহ জীবনের তৈলহীন ঘানি,
দুঃখিনী সোনার বাংলা জাতিহীন অন্ধকারে
যতিচিহ্নে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে মহিমা নামের
সেই লজ্জাবতী অবুঝ ধর্ষিতা মেয়েটির মতো।
দোষীদের সমুচিত শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদে
ঝড় ওঠে সবখানে ; সব মনে ঘৃণার আগুন,
ঘন অন্ধকারে যেন থরে থরে লাল কৃষ্ণচূড়া;
হাত–পা গুটিয়ে কবি ঘরে বসে নেই – অবিনাশী
অক্ষরের অস্ত্র হাতে মাঠে নামে ডাকাত তাড়াতে।