অক্টোবরে পাহাড় ভ্রমণে প্রশাসনের ‘না’

পর্যটন খাতে ক্ষতির শঙ্কা

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে চলতি অক্টোবর মাসে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ভ্রমণ না করার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল রোববার পৃথক বার্তায় ওই তিন পার্বত্য জেলার প্রশাসন এই অনুরোধ জানিয়েছে।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, আগামী ২৩ দিন খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো। পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতির কারণে এমন সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রাঙামাটি : রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বান্দরবান : বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকাল ৪টায় জারি করা এক নির্দেশনায় আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, অনিবার্য কারণবশত আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশি সকল পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত তিন পার্বত্য জেলায় একসঙ্গে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তাগত কারণেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে বান্দরবান জেলায় আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে ১০ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কয়েকদিনের টানা বুকিং ছিল পর্যটকদের। ভ্রমণের জন্য গাড়িও আগাম বুকিং করেছিল পর্যটকরা। হঠাৎ সিদ্ধান্তে বুকিং বাতিল হলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

জেলা আবাসিক হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জানান, শারদীয় উৎসবকে ঘিরে বহুদিন পর বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের ঢল নামার মত বুকিং হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল মন্দা কাটবে পর্যটন শিল্পে। কিন্তু হঠাৎ নিষেধাজ্ঞায় আশার আলোয় মেঘের ঘনঘটা নেমে এলো আবারও। সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা সাদুবাদ জানাই। কিন্তু পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা হচ্ছে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি, সরকারকে পর্যটন শিল্প রক্ষায় জরুরি প্রদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাচাই বাছাই শেষ, আজ একনেকে উঠছে কালুরঘাট সেতু প্রকল্প
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের ২০ শতাংশই শিশু