নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এক গৃহবধূর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম(৫২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এর আগে গতকাল বুধবার(২০ জুলাই) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। মো. তাজুল ইসলাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন তৈয়বিয়া হাউজিং সোসাইটি গাউসিয়া ভিলার আব্দুল মজিদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামরুজ্জামান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরবান হাউজিং সোসাইটির এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৈয়বিয়া হাউজিং সোসাইটির মো. তাজুল ইসলামের গাউসিয়া ভিলার দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন গৃহবধূটি। গ্রেফতার মো. তাজুল ইসলাম ভবনের তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন।
গৃহবধূটির স্বামী ও সন্তান বাসায় না থাকার সুযোগ নিয়ে বাসায় এসে কুপ্রস্তাব দিতেন তিনি। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে গৃহবধূর স্বামী ও সন্তানদের হত্যার হুমকি দেন। ২০২১ সালের ৫ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাউসিয়া ভিলায় গৃহবধূর দুই ছেলের রুমের দরজা বন্ধ করে আগের মতো কুপ্রস্তাব দেন। গৃহবধূ রাজি না হলে তাজুল তাকে ধর্ষণ করে।
তাজুল প্রায়ই গৃহবধূর স্বামী ও দুই ছেলে বাসায় না থাকার সুযোগে বাসায় এসে গৃহবধূটিকে ধর্ষণ করত। স্বামী ও দুই ছেলেকে হত্যার হুমকিতে গৃহবধূ তাকে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানাননি।
গত ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে আগের মতো স্বামী ও দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করে তাজুল। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনাটি গত ডিসেম্বরে স্বামীকে জানান। এরপর তিনি তাজুলকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
গত ২৮ ডিসেম্বর বাসা ছেড়ে নগরের আরবান হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস শুরু করেন তারা। তাজুল গত ২ জুলাই গৃহবধূর বাসার সন্ধান পাওয়ার পর আবার ধর্ষণ করার প্রস্তাব দেয়। গৃহবধূ তাকে তাৎক্ষণিক বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে, না হলে লোকজন ডাকবে বললে বাসা থেকে চলে যায় তাজুল। লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন কাউকে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করেননি তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেন গৃহবধূটি। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় মো. তাজুল ইসলামকে।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাজুল ধর্ষণের ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।