নগরীর পতেঙ্গায় একটি বেসরকারি ডিপোতে রাখা কনটেইনারে ধোঁয়া দেখে আশেপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় তবে ফায়ার সার্ভিস এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু খুঁজে পায়নি বলে জানায়।
সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে নগরীর পতেঙ্গায় ভারটেক্স অফ ডক লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড নামের কনটেইনার ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।
এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ জানান, অতিরিক্ত তাপের কারণে তুলাভর্তি একটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা তাদের রাত পৌনে নয়টার দিকে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সোয়া নয়টায় তা নিভিয়ে ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ জানায়, ডিপোর শ্রমিক ও স্থানীয়রা একটি কনটেইনার থেকে কুণ্ডলি পাকিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কয়েক দিন আগেই সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণেই সবার মধ্যে ভীতি ছড়ায়।
লিডার শহীদুল্লাহ বলেন, “কনটেইনারে রাখা তুলার গাঁট সরিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। আশেপাশের কনটেইনারও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর কোনো ধোঁয়া দেখা না যাওয়ায় আমরা কাজ শেষ করেছি। রপ্তানির জন্য রাখা একটি তুলাভর্তি কনটেইনারে ছিটানো ওষুধ গরম ও বৃষ্টির কারণে উত্তপ্ত হয়ে ধোঁয়ার মতো সৃষ্টি হয়। তবে কোনো প্রকার ক্ষতি হয়নি।“
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কবির হোসেনও জানান, আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ধোঁয়ার মতো সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কনটেইনার খুলে তল্লাশি করেছে, তবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়।