কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ গুলিতে নিহত এবং এক শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) মধ্য রাত থেকে ক্যাম্প-৫ ও ক্যাম্প-৮ ডব্লিউতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ডব্লিউর বাসিন্দা মৃত হাসিমের ছেলে ছৈয়দ আলম(৬০)।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঝুঁকিপূর্ন অবস্হায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ বছরের তাইফুর। সে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।
সাধারণ রোহিঙ্গারা অন্তত রোজার মাসে গোলাগুলি ও খুনোখুনি ঘটনা বন্ধ থাকার আশা করছিল কিন্তু মুসলমান হয়েও এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তা কোনো আমলে নেয়নি বলে রোহিঙ্গাদের অভিযোগ।
এক্ষেত্রে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা ধরে একাধিক সশস্ত্র বিবদমান গ্রুপের মধ্যে চলে গোলাগুলি। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর ক্রসফায়ারে পড়ে বয়োবৃদ্ধ একজন রোহিঙ্গা ঘটনাস্থলে নিহত এবং শিশুসহ আরও ৫-৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মধ্যরাতে ক্যাম্পগুলোর ভিন্ন ভিন্ন স্পট থেকে ছোটা শত শত রাউন্ড গুলির শব্দে যুদ্ধাবস্থায় বসবাসের মতো হয়ে উঠে পুরো ক্যাম্প।
কয়েকটি ক্যাম্পে গোলাগুলি হলেও পুরো ক্যাম্পজুড়ে যেন সাধারণ রোহিঙ্গাদের চোখমুখে দিনের আলোতেও আতঙ্কের ছাপ পরিলক্ষিত হয়। এ যেন পাখি শিকারের মতো গুলিবর্ষণ।
প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে কখন কোথায় কী ঘটে তা নিয়ে আতংকে থাকতে হয় বলে জানায় রোহিঙ্গারা।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা যায়। ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা।