কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবার এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) গুলিতে পাঁচজন নিহতের ১২ ঘণ্টা পর এ মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
আজ ভোর ৫টার দিকে যে ক্যাম্পটিতে (বালুখালীস্থ ৮ পূর্ব নম্বর ক্যাম্প) আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে একই ক্যাম্প থেকে বিকাল ৫টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
নিহত রোহিঙ্গা সানাউল্লাহ (৪৫) ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সানাউল্লাহকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে দেওয়া হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভোরের গোলাগুলির কোনো যোগসূত্র আছে কী না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৮ এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এটি ভোরের গোলাগুলির ঘটনার জের নাও হতে পারে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিরা কুতুপালংস্থ ১ পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে যান। সেখানে যখন তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারে চালানো নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করছেন সেই সময় একই ক্যাম্পের নিকটবর্তী ১ পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে এবাদুল্লাহ নামে এক সাব মাঝিকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও এপিবিএন জানিয়েছিল, এবাদুল্লাহকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি এবং কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।