বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশী টিভি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (নেবট্রা) প্রতিষ্ঠার চার বছর উদযাপন উপলক্ষে গত ১৫ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের ওল্ডহাম-এর দ্য গ্র্যান্ড ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হলো এক জমজমাট প্রীতি সমাবেশ, নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নর্থ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর তথা ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার, লিডস, রচডেল, ব্রাডফোর্ড, লিভারপুল এবং বলটন থেকে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনের উপস্থিতিতে সমাবেশটি এক আনন্দমেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুদূর লন্ডন থেকে এসেছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এমাদ চৌধুরী, ইসি মেম্বার আহাদ চৌধুরী বাবু, আনোয়ার শাহজাহান এবং সারওয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওল্ডহাম কাউন্সিল-এর সাবেক মেয়র ও ডেপুটি লিডার আব্দুল জব্বার, রচডেল কাউন্সিল-এর ডেপুটি মেয়র সৈয়দ আলী আহমেদ, ম্যানচেস্টার সিটি কাউন্সিল-এর ডেপুটি লিডার লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল সহ আরো অনেকে।
নেবট্রা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান শ্যামল ও যুগ্ম সম্পাদক মওদুদ আহমেদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক খালেদ আহমেদ।
এরপর নেবট্রা কমিটিকে সাথে নিয়ে সমবেত কন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রোজি সরকার।
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসে মৃত সকলের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সবাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেবট্রা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান।
নেবট্রা কার্যকরী কমিটির সদস্যদের মঞ্চে এনে পরিচিত করান নেবট্রা-এর প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক ফারুক জোশি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আব্দুল নাসের ওয়াহাব, কাউন্সিলর আব্দুল মালিক, সৈয়দ মুজিবুর রহমান, আফজাল রববানি, শিপার মিয়া, মুমিন খান, দেলওয়ার হোসেন শিবলি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বের সমাপনী বক্তব্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি এম জি কিবরিয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং সফল করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নেবট্রার সহ-সভাপতি শিপার মিয়া এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক শামীম আমাদের যৌথ উপস্থাপনায় গান পরিবেশন করেন রোজি সরকার, গোলাম মোস্তফা এবং স্থানীয় শিল্পীরা।
নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।