বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়েও বিদায় নিতে হলো তিউনিশিয়াকে কারণ শুধু জিতলেই হবে না গ্রুপ ‘ডি’ এর অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচটি ড্র হলেই কেবল সুযোগ ছিল শেষ ষোলোয় ওঠার।
৫৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে তাদের স্বপ্নটাকে উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন ওয়াহবি খাজরি কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি! বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেও বিদায় নিতে হলো কাতার বিশ্বকাপ থেকে। কেননা অপর ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল ফ্রান্স। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে বেঞ্চের ফুটবলারদের পরখ করে দেখার সুযোগটা লুফে নেন কোচ দিদিয়ের দেশম। তাই ৯ পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান তিনি। বদলাননি শুধু রাফায়েল ভারান ও অরেলিয়ে শুয়েমেনিকে। তবে বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হয়তো হতে পারেননি। ম্যাচের ফলাফলই তা বলে দিচ্ছে।
রেফারি বাঁশি বাজানোর শুরু থেকেই ফ্রান্সকে চাপে রাখে তিউনিশিয়া। খেলার ৮ মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিল দলটি। খাজরির ফ্রি-কিক থেকে পায়ের দারুণ ব্যবহার করে লিড এনে দেন গান্দ্রি কিন্তু গোল উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গেই দেখতে পান অফসাইডের সংকেত।
৩৫ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের বক্সে বিপদ তৈরি করে তিউনিশিয়া। তবে ৩৫ গজ দূর থেকে খাজরির শট ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মান্দানা।
এরপর বাকিটা সময় আক্রমণে দেখা যায় কেবল তিউনিশিয়াকেই। বিরতির পর নিজেদের খেলা ধরে রাখে তারা। ৫৮ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে খাজরির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান লাইদুনি। দারুণ দক্ষতায় বলটি জালে ফেলতে কোনো ভুল করেননি তিনি। তবে তিউনিশিয়ার গোল দেখেই যেন আল জানুব স্টেডিয়ামে জেগে উঠে অস্ট্রেলিয়া। ডেনমার্কের জালে বল ফেলে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিউনিশিয়ার স্বপ্নকে চূর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয় তারা।
অপর খেলায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ডেনমার্কের। শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
আজ বুধবার আল জানুব স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘ডি’ এর ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলটির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন ল্যাকি।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পার করেছিল তারা।
ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সমীকরণ ছিল সহজ। ড্র করলেই তারা পৌঁছে যেত শেষ ষোলোতে কিন্তু ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ফ্রান্সের বিপক্ষে তিউনিশিয়া গোল দেওয়ার পর জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের।
হঠাৎ আসা চাপ দুই মিনিটেই সরিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অনেকটা একক নৈপুণ্যে গোল করেন ল্যাকি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল পাওয়ার পর ডিফেন্ডার মেহিলেকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
ম্যাচের বাকি ত্রিশ মিনিট রক্ষণে ব্যস্ত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমার্ধে ডেনমার্ক বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি একেবারেই। তাদের ওই সুযোগ নষ্টের মাশুল গুনে বিদায় নিতে হলো বিশ্বকাপ থেকে।