রুমা, রোয়াংছড়ির পর এবার বান্দরবানের থানচি ও আলীকদম উপজেলায়ও পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তথ্য সংগ্রহ ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের পত্রের আলোকে আধিপত্য বিস্তারমূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার থানচি ও আলীকদম উপজেলায় নিরাপত্তা বিবোচনায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে আজ ২৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বলেন, “রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার পর এবার থানচি এবং আলীকদম উপজেলায়ও পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।”
এদিকে, হঠাৎ নিষেধাজ্ঞায় থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা চরম বিপাকে পড়েছে। বেকায়দায় পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
ট্যুরিস্ট পরিবহন মালিক সমিতির নাছিরুল আলম বলেন, “রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার পর এবার থানচি এবং আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। সমিতির সাড়ে তিনশ’ ট্যুরিস্ট গাড়ির শ্রমিক অলস সময় কাটাচ্ছে। চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।”
বান্দরবান হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আগেই আবার লোকসানের মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। গত ১৮ অক্টোবর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নতুন করে রবিবার থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে জেলা শহরের পর্যটন ব্যবসায়ও। পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে গোটা বান্দরবান।”