নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে হেনস্তা করার মামলার আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তার নাম রহমতউল্লাহ বিশ্বাস রনি।
আজ বুধবার(২৯ জুন) নড়াইল জেলা পুলিশ তাকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।
গ্রেপ্তার রহমতউল্লাহ বিশ্বাস রনি নড়াইল সদর উপজেলার রুখালি গ্রামের জাবের আলী বিশ্বাসের ছেলে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৭ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলে।
এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস পুলিশে খবর দেন। এর মধ্যে ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অধ্যক্ষ ও দু’জন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাধে।
ওই সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। ওই ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আসে যাতে পুলিশের উপস্থিতিও দেখা যায়।
তখন পুলিশ ওই ছাত্রের সঙ্গে অধ্যক্ষকেও থানায় নিয়ে যায়। তবে অধ্যক্ষকে আটক করা হয়নি বলে জানান নড়াইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শেখ মোরছালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামী করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
মামলা করার পর সোমবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী, মির্জাপুর বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শাওন খান ও মধ্যপাড়ার মো. মনিরুল ইসলাম।