দক্ষিণ চট্টগ্রামের একের পর এক যানজটের কবলে পড়া যাত্রীদের ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলে ফিরতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
ঈদের ছুটি শেষে অনেকে বৃহস্পতিবার কাজে যোগদান করলেও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান খুলবে শনিবার। তাই অধিকাংশ ঘরমুখো জনগণ আজ শুক্রবারকে(৬ মে) কর্মস্থলে ফিরে আসার দিনক্ষণ ঠিক করায় দুপুরের আগেই সকল ধরনের যানবাহন সংকট শুরু হয়। ফলে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও গাড়ি না পেয়ে বিভিন্ন কাউন্টারে অবস্থান করতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে।
অপরদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানে যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে যথাসময়ে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেনি অনেকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা পশ্চিম পটিয়া হয়ে সড়ক সম্প্রসারণের যে কাজ চলমান রয়েছে সেখানে দীর্ঘ যানজট রয়েছে। তার ওপর আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীতে বিশাল যানজটের ফলে দক্ষিণমুখী অধিকাংশ গাড়ি চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীর দু’পাশে সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও দু’পাশে গাড়ি পার্ক করার ফলে মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারগামী গাড়িগুলোর অতিরিক্ত চাপের ফলে বাঁশখালীর পুকুরিয়া চৌমুহনী, কালীপুর, গুনাগরী, খাসমহল, মিয়ারবাজার, চাম্বল বাজার, টাইমবাজারে শুরু করে বেশ কয়েকটি স্থানে যেন ভোগান্তির একই অবস্থা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীতে আসা নুরুল আলম বলেন, “এত যানজটের ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না। অপরদিকে ঈদের ছুটি শেষ হওয়াতে অফিসমুখী মানুষের চাপে সারা সড়কজুড়ে শুধু যাত্রী আর যাত্রী।”
এদিকে, বাঁশখালীর অধিকাংশ বাস কাউন্টার দুপুর থেকে টিকেট দেওয়া বন্ধ করে দেয় গাড়ি না থাকার অজুহাতে। ফলে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষমান থাকতে দেখা যায়।
শ্রমিক সংগঠনের নেতা সবুর জানান, ঈদের সময় যানবাহন চালানোর পর অনেক শ্রমিক ছুটিতে থাকে। আবার যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম থাকার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।