সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের এক মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক পারভেজ উদ্দিন শান্টু।
তাকে গ্রেফতারের এ কথা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাহবুবর রহমান।
তদন্ত প্রতিবেদনে কারখানা পরিচালনায় গাফিলতি চিহ্নিত হওয়ার পর সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিকদের গ্রেফতার করতে নেমেছে শিল্প পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর রাতে ওই মালিককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শান্টুর ভাই মামুন উদ্দিন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের আরেক ভাই আশরাফ উদ্দিন বাপ্পিও কোম্পানির পরিচালক। তাদের বাবা এই কারখানা তৈরি করেছিলেন।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী যে মামলা করেন তাতে এই তিন ভাইকেই আসামী করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে শিল্প পুলিশের কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বলেছেন, “মামলার অন্য আসামীদেরও খোঁজা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার-মানবিক পাস সুপারভাইজার চালাতেন সীমা অক্সিজেন
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহত ৪
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সাতজন নিহত হয়, আহত হয় ২৫ জন। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে লোহার টুকরা, সিলিন্ডার কয়েকশ’ গজ দূরে গিয়ে পড়েও একজন নিহত হয়।
বিস্ফোরণে নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণহানির অভিযোগ এনে ৭ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়।
দণ্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮, ৩০৪ ও ৪২৭ ধারায় মামলাটি করা হয়। ৩০৪ ধারায় বলা আছে হত্যার উদ্দেশ্য না থাকার পরও মৃত্যু ঘটলে তা ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং তার সঙ্গে অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।
ওই অগ্নিকাণ্ড তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যদিও সীমা অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ বলে আসছিল তারা সব নিয়ম মেনেই কারখানা পরিচালনা করছিল।
রাতেই সীমা অক্সিজেনের এক মালিক গ্রেফতার হলেন।