বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সাবেক দুদক কমিশনার সাহাবু্দ্দিন চুপ্পু।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
আজ রোববার সকালে দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের সই করা মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন আর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ তা সমর্থন করেন।
মনোনয়নপত্র জমার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তাদের দলের সভাপতি ও সংসদীয় দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনীত করেছেন।
সাংবাদিকদের একের পর এক অনুরোধের মধ্যে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু শুধু বলেন, “সবই আল্লাহর ইচ্ছা।”
তফসিল অনুযায়ী রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ আছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
রোববার আর কেউ প্রার্থী না হলে যাচাই-বাছাই শেষে মো. সাহাবুদ্দিনকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আর একাধিক প্রার্থী থাকলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে ভোট হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে।
বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদে পরোক্ষ ভোটে। সংসদ সদস্যরাই এই নির্বাচনে ভোট দেন। ৩৫০ আসনের সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য এখন ৩০৫।
ফলে টানা দুই বারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনই যে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।