টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ জয়ের বিকল্প ছিল না কাতার ও সেনেগালের সামনে কারণ দুই দলেরই বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে হার দিয়ে। হারলেই ছিটকে যেতে হতে পারে বিশ্বকাপ থেকে। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে অনায়াসেই জয় তুলে নিল আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা।
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’-এর ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল।
প্রথমার্ধে ফরোয়ার্ড বোলায়ে দিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আফ্রিকার সিংহরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরেক ফরোয়ার্ড ফামাহা ডিডিউ। শেষদিকে একটি গোল শোধ করেন কাতারের মোহাম্মেদ মুনতারি। তবে কিছুক্ষণ পর সেই ব্যবধানও ঘুচিয়ে দেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড বাম্বা দিয়েং।
এর আগে উদ্বোধনী দিনে ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল কাতার। আর নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে লড়াই জমিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরেছে সেনেগাল। ফলে দুই ম্যাচে ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট হলো সেনেগালের। সমান পয়েন্ট আছে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরের দখলেও। তবে পরের দুই দল ম্যাচ খেলেছে ১টি করে। অন্যদিকে, দুই ম্যাচেই হেরে খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে কাতার।
এবারই প্রথম কোনো ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হলো কাতার ও সেনেগাল। প্রথমবারেই কাতারকে পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার দলটি। শুরুতে বল দখল আর আক্রমণে স্পষ্ট আধিপত্য ছিল তাদের। আর কাতার ব্যস্ত ছিল রক্ষণ সামলাতে। এমনকি নিজেদের অর্ধ থেকেই বের হতে পারছিল না প্রথমবারের মতো স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা এই দলটি। উল্টো প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে সেনেগাল।
প্রথমার্ধের শেষদিকে আক্রমণের গতি বাড়ায় সেনেগাল। ৪১তম মিনিটে ফলও পায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সের দিকে বাঁকানো ক্রস পাঠান দিয়াত্তা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কাতারি ডিফেন্ডার বুয়ালেম খুউখি। বল লাফিয়ে তার কোমড় স্পর্শ করে যায় দিয়ার সামনে। সঙ্গে সঙ্গে কাতারি গোলরক্ষক মেশাল বারশামকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন দিয়া।