সাতকানিয়ায় আ. লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বসতঘরে ভাঙচুর

ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা সহ ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা আলমগীর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমনের বাড়িতে পুলিশ গেলে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাত এসেছে বলে প্রচার করা হয়।

ঢেমশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল মিয়া বলেন, “গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমন ও তার ভাই সাগরের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে এলাকায় আসে।
এসময় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মো. পারভেজ, সানজিত, নিহান, কোরবান আলী, মো. শাহ আলম, মুছা, ফয়সাল, মো. হারুন, আবুল কাশেম, হাজী আবদুর রশিদ ও আমার বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘরের ঘেরাবেড়া, আসবাবপত্র, ও হাড়ি-পাতিল ভেঙে তছনছ করে দেয়। এছাড়াও তারা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত ইউপি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলাম। এজন্য চেয়ারম্যান রিমন নির্বাচনের পর থেকে আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। নৌকার পক্ষে কাজ করায় ইতিপূর্বে রিমন ও তার কর্মী-সমর্থকরা অনেক আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বসতঘরে হামলা চালিয়েছে।”

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাত ১০টার দিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম রিমনের বাড়িতে গেলে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাত এসেছে বলে প্রচার করা হয়। পুলিশ সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর চলে যায়।

ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম রিমনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানান, বিকালে চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমনের নেতৃত্বে উত্তর ঢেমশার আলমগীর পাড়া, বড়বাড়ি ও আলী ফকির পাড়া এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এসময় কয়েকজন আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাতে চেয়ারম্যান রিমনের বাড়ি এলাকায় গেলে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে ডাকাত, ডাকাত বলে প্রচার চালানো হয়। বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে একাধিকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেনাল্টিতে দুই গোল বাঁচিয়ে সেমিতে ক্রোয়েশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধব্রাজিলের কোচের পদত্যাগ