সাতকানিয়ার ছনখোলায় অবৈধভাবে সরকারি খাস জায়গা দখল করে প্লট ব্যবসা করে আসছিল বাঁশখালীর প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এসব অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২১ একর সরকারি জায়গা। উদ্ধারকৃত জায়গার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সাতকানিয়ার চুড়ামনি মৌজার ছনখোলা এলাকায় কেরানীহাট-গুনাগরি সড়কের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি দখল করে নেয় বাঁশখালীর একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র। দখলকৃত জায়গার কিছু অংশে টিনের ঘর তৈরি করে ভাড়া দেয় এবং অন্য অংশে দখলস্বত্ব হিসেবে প্লট বিক্রি করে। অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গায় গড়ে উঠা টিনের ঘর ও দখলস্বত্ব প্লট বিক্রির জন্য সেখানে বিদ্যুৎ, পানি ও কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাও করেছে ভূমিদস্যুরা।
এদিকে, এসব অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযানে যান সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।
তিনি সরকারি জায়গার উপর তৈরিকৃত টিনের ঘরগুলো ভেঙে দিয়ে পুরো জায়গাটি সরকারি হেফাজতে নেন। উদ্ধারকৃত জায়গায় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়।
এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু ছালেহ জানান, অবৈধ দখলদাররা সরকারি জায়গার উপর দখলস্বত্ব হিসেবে প্রতি শতক ৭০ হাজার টাকা দরে প্লট বিক্রি করেছে। এ ধরনের বেশ কিছু প্লট বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া টিনের ঘর তৈরি করে ভাড়াও দিয়েছে তারা। লোকজন না বুঝে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে এসব দখলস্বত্ব প্লট কিনেছে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী জানান, বাঁশখালীর আনোয়ার আজিমের নেতৃত্বাধীন প্রভাবশালী একটি ভূমিদস্যু চক্র সাতকানিয়ার এওচিয়ার ছনখোলা এলাকায় এসে সরকারি খাস জমি দখল করে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে। এছাড়া অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গার অন্য অংশে দখলস্বত্ব হিসেবে প্লট বিক্রি করে। আজ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে প্রায় ২১ একর সরকারি খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়। এসব জায়গার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
তিনি সরকারি খাস জায়গা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।