সাতকানিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
এসময় চিমনি ও ইট পোড়ানোর ভাটাগুলো স্কেভেটরের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার এওচিয়ার ছনখোলা এলাকায় চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব। এসময় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের মালিকানাধীন কেবিএম ও তার ছোট ভাই মো. হারুনের মালিকানাধীন এইচবিএম।
গুঁড়িয়ে দেয়া কেবিএম ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম মানিক বলেন, “আমার ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স থেকে শুরু করে সব কাগজপত্র রয়েছে। এছাড়াও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও আমার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।”
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, মো. হারুনের মালিকানাধীন এইচবিএম ভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র নাই। নজরুল ইসলাম মানিকের মালিকানাধীন কেবিএম-এর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে এবং ভাটাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে।
এছাড়াও ভাটাগুলো জনবসতিপূর্ন ও পাহাড়ি এলাকায়। এসব ভাটায় ইট তৈরির কাজে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাতকানিয়ায় এ ধরনের আরো কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।








