সাতকানিয়ায় অস্ত্র-কার্তুজ উদ্ধার

শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধের ঘটনা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ১০:২৯ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ায় শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার আসামীদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার জনৈক শহীদুল ইসলামের ওষুধের দোকানের পেছনে বাগান থেকে এসব অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, গ্রেফতার আসামী আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে সাতকানিয়ার এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচ বছরের শিশু রাফি রাইয়ান ও সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এলাকা থেকে তিন আসামীকে গ্রেফতার করে।

চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহমদ জানান, সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার বাসিন্দা সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম এবং একই এলাকার আরিফুল ইসলাম মানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার দুপুরে এসএম কামরুল ইসলাম পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শামসুল ইসলামের পুতুনের দোকানে বসে গল্প করছিল। তখন একই এলাকার আবদুর রহিমের পুত্র শিশু রাফি রাইয়ান চকলেট নেয়ার জন্য দাদার দোকানে আসে। এসময় কামরুলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে।

এতে শিশু রাফি ও কামরুল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে এসএম কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে ঘটনায় জড়িতরা পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অবস্থান করার বিষয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম মানিক (৩৫), আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম (৩৫) ও মো. মিজানুর রহমান(৩০)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

এরপর ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গায় জনৈক শহীদের দোকানের পেছনে বাগানে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে গ্রেফতার আসামীদেরকে সাথে নিয়ে সেখানে অভিযানে গেলে আবদুর রহিম ডালিম ও মো. মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে বাগানের ভেতর থেকে দুইটি এক নলা দেশীয় তৈরি এলজি ও ৪ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

ওসি নুর আহমদ আরো জানান, গ্রেফতার আরিফুল ইসলাম মানিক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র যেখানে রাখার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সেখানে পাওয়া যায়নি। আর অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই সুব্রত দাশ বাদী হয়ে গ্রেফতার আসামীদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতার আসামীদের মধ্যে আবদুর রহিম ডালিম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধার মামলায় গ্রেফতার আরও ৩
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে আগুনে পুড়ল ৭ জনের বসতঘর