চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩টি যাত্রীবাহী বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) ভোরে সাতকানিয়া রাস্তার মাথার দক্ষিণে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এসব বাসে আগুন দেয়া হয়।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন দেয়া বাসের মধ্যে ২টি শ্যামলী ও ১টি হানিফ পরিবহনের।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া রাস্তার মাথার দক্ষিণে সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের মাঠে অন্যান্য দিনের মতো বাস পার্ক করে রাখে চালকরা। আজ ভোরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ৩টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগে বাসের ভেতর ও বাইরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভোর চারটার দিকে ২টি মোটরসাইকেল যোগে ৫ জন ছেলে এসে পরপর ৩টি বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
শ্যামলী বাসের মালিক কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদার বাড়ী এলাকার সিরাজুল হক জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে মেরামতের কাজ শেষ করে রবিবার রাত ১২টার সময় বাস ২টি এনে এখানে রেখে বাড়িতে চলে যান। ভোর বেলা লোকজন ফোন করে জানায় তার গাড়ী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক এসে দেখেন গাড়ীর ভেতর-বাইরে আগুন জ্বলছে। ততক্ষণে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এসএম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, “ভোরে বাসে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করি। প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন দেয়া বাসের মধ্যে ২টি শ্যামলী এবং ১টি হানিফ পরিবহনের।”
তিনি আরো বলেন, “আগুন জ্বলা অবস্থায় একটি বাস হঠাৎ করে স্টার্ট হয়ে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীতে ধাক্কা দেয়। এতে আমাদের গাড়ীর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, বাসগুলো সাতকানিয়া রাস্তার মাথার দক্ষিণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি মাঠে দাঁড়ানো ছিল। ভোর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন দেয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। ফলে বাসগুলোর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।