আশ্রয়কেন্দ্রে সেন্টমার্টিনের মানুষ

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ১৩ মে, ২০২৩ at ৮:২৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে ১০নং মহাবিপদ সংকেত জারির পর থেকে সেন্টমার্টিনের লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে।

আজ শনিবার (১৩ মে) রাত ৮টায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, এই মুহুর্ত দ্বীপের স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরি কাজে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ছাড়া সকলেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এখনো দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র বড় ধরনের প্রভাব শুরু হয়নি। তবে মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ আতংক পরিলক্ষিত হচ্ছে।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু লোকজন কান্নাকাটি শুরু করেছে বলে টেলিফোনে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়। দ্বীপে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে দ্বীপবাসী আশ্রয় নিয়েছে বলে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত করেছেন।”

গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো সেন্টমার্টিনে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এছাড়া টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রেও অবস্থান নিতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আরজিনা বেগম নামের এক নারী বলেন, “যদি ঘূর্ণিঝড় শুরু হয় তখন তো কেউ কারো খবর নিতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসলাম।”

চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে জানান।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিন হাসপাতাল, স্কুল ও ডাকবাংলোাসহ আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে কয়েক হাজার পরিবার অবস্থান নিয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় গুড়িয়ে দেয়া হলো অবৈধ স্থাপনা
পরবর্তী নিবন্ধগরু বাঁচাতে গিয়ে চন্দনাইশে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু