ডুবোযান টাইটানের খোঁজে সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছেছে একটি রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল বা আরওভি।
পানির তলদেশে চলাচলে সক্ষম ওই রোবটযানটি কানাডার জাহাজ হরাইজন আর্কটিক থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।
ভিক্টর ৬০০০ নামে আরেকটি রোবটযান সমুদ্রের তলদেশে পাঠানো হয়েছে। ফ্রান্সের গবেষণা জাহাজ আতালন্ত থেকে সেটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
কানাডার কাছে আটলান্টিক মহাসাগরে পানির নিচে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখাতে গত রোববার ডুব দেওয়া ডুবোযান টাইটানের খোঁজ এখনও মেলেনি।
ওই ডুবোযানটি ওশেনগেইট নামে একটি পর্যটন সংস্থার। তারা আগেই জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোররাতের (১০.০০ জিএমটি) পর টাইটানের পাঁচ আরোহীর নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো আর কোনো অক্সিজেন যানটিতে থাকবে না।
সেই সময় পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও ডুবোযানটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ‘ট্যুরিস্ট সাবমেরিন’ নিখোঁজ
টাইটান ডুবোযান উদ্ধারে যেসব বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে
ডুবোযান টাইটানের নতুন শব্দ শনাক্ত, তল্লাশি এলাকা সম্প্রসারণ
শুরুতে আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ডুবোযানটি খোঁজা হচ্ছিল। পরে তল্লাশি এলাকার বিস্তার বাড়ানো হয়েছে।
এখন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে ও পানির আড়াই মাইল গভীরতা পর্যন্ত ডুবোযানটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
টাইটানের আরোহীদের বেঁচে থাকার আশা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে আসতে শুরু করলেও তাদের উদ্ধারের আশা এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি। বরং উদ্ধার কার্যক্রমের গতি আরো বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশ নিজেদের হাতে থাকা আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তায় এগিয়ে আসছে।
যুক্তরাজ্য তাদের একটি রয়্যাল নেভি সাবমেরিন এবং বেশ কিছু যন্ত্রপাতি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। শীঘ্রই সেগুলো রওয়ানা হবে।